‘ওল্ড ইজ গোল্ড’: লাগাতার ফ্লপের মধ্যে বলিউড কেন রি-রিলিজের দিকে ঝুঁকছে
সামাজিক মাধ্যম থেকে রাঘব বিখচান্দনি যখন জানতে পারলেন ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র 'গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর' আবার নয়াদিল্লির প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে, তিনি ঠিক করেন এবার এ সিনেমা তার বড় পর্দায় দেখতেই হবে! এমনকি তিনি কিছু ফিল্ম ক্লাব এবং হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপেও এ ব্যাপারে জানিয়ে দিলেন।
২৭ বছর বয়সি এ কপি এডিটর জানান, আগস্টের বিকেলে টানা তিন ঘণ্টা সফর শেষে সুভাষ নগরের এক জরাজীর্ণ প্রেক্ষাগৃহে এসে বড় পর্দায় অবশেষে দুই পার্টের এ সিনেমাটি দেখতে পারা তাকে ভারতীয় পপ সংস্কৃতির সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সব মিমসের জন্ম দেওয়া চলচ্চিত্রের সঙ্গে যেন নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিলো।
'আমি অনেক দেরিতে হিন্দি সিনেমা দেখা শুরু করি, এ কারণে এ সিনেমা আমার বড় পর্দায় দেখার সৌভাগ্য হয়নি। আমি যখন দেশের বাইরে শিকাগোতে পড়তাম, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয়রাও এ সিনেমার বিভিন্ন সংলাপ উদ্ধৃত করতেন। কিন্তু আমি এটা দেখার সুযোগ পাইনি। এ কারণে আমি জানতাম এবার কোনোভাবেই এ সুযোগ হারানো যাবে না,' আল-জাজিরাকে বলেন রাঘব।
ফ্রান্সে ২০১২ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে হাউজফুল প্রিমিয়ারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা পাওয়া এ চলচ্চিত্রটি মূলত পূর্ব ভারতের একটি শহরে কয়লাখনি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংগুলোর মধ্যে দশক-দীর্ঘ দ্বন্দ্বকে ঘিরে নির্মিত।
রাজনীতি ও অপরাধ জগতের সাহসী আবহে বৈচিত্র্যময় কাস্ট, তীক্ষ্ণ সংলাপ আর পিচ-ব্ল্যাক কমেডির মিশেলে এ পাঁচ ঘণ্টার মহাকাব্যিক চলচ্চিত্রটি গত দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে স্মরণীয় চলচ্চিত্রের একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তবে এটি শুধু গ্যাংস অফ ওয়াসেপুরের ক্ষেত্রে নয়। ভারতের মুম্বাইভিত্তিক হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি বলিউড হোক কিংবা বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আঞ্চলিক চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি হোক — সবখানেই পুরোনো চলচ্চিত্রের রি-রিলিজের যেন এক জোয়ার এসেছে, যেখানে ১৯৫০-এর দশকের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রকেও নতুনভাবে উদযাপিত করা হচ্ছে।
এ বছর প্রায় কয়েক ডজন এমন চলচ্চিত্র ভারতের বিভিন্ন শহরের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে, যা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। ২০০ বিলিয়ন ডলারের এ চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি এর মাধ্যমে নতুনভাবে নিজেদের ভাগ্য ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
ভারতের মত একটা দেশে, যেখানে বছরে হলিউডের তুলনায় বেশি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়, সেখানে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম চলচ্চিত্র। কিন্তু বিশ্ব চলচ্চিত্রের মতই করোনা মহামারী ভারতীয় চলচ্চিত্রকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ২০২২ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহগুলো দর্শককে হলে ফিরিয়ে আনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অনলাইন স্ট্রিমিং আর ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উত্থান।
২০২০ ও ২০২১ সালে মহামারির কারণে ভারতে ১৫০০ থেকে ২০০০ প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যায়। এর অধিকাংশই ছিল একক পর্দার, যা দেশটি জুড়ে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠা বেশিরভাগ শপিং মলে কর্পোরেট ফ্র্যাঞ্চাইজি-চালিত মাল্টিপ্লেক্সগুলোর সঙ্গে পেরে ওঠেনি।
তার ওপর বেড়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ ব্যয়। তারকা, বিশেষ পুরুষ তারকাদের এখন একটি অভূতপূর্ব পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, যা অনেক ক্ষেত্রে একটি চলচ্চিত্রের পুরো বাজেটের অর্ধেক। এছাড়াও তাদের মেকআপ, প্রচার ক্রু, ভ্যানিটি ভ্যান, হোটেল, ভ্রমণ খরচ প্রযোজক এবং স্টুডিওগুলোর ওপর একটি বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করে। সম্প্রতি, বিশিষ্ট প্রযোজক ও পরিচালক কারান জোহর সাংবাদিকদের বলেন, বলিউড তারকাদের পারিশ্রমিক 'বাস্তবতার সংস্পর্শে নেই।'
পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বলিউড চলচ্চিত্র লাগাতার ফ্লপ, যার ফলে এমনকি পিভিআর আইনক্সের মত বড় মাল্টিপ্লেক্স চেইনগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রেক্ষাগৃহের মালিক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতারা পুরোনো চলচ্চিত্রগুলো রি-রিলিজের সিদ্ধান্ত নেন। প্রেক্ষাগৃহে ফেরা অনেক চলচ্চিত্রই প্রথমবারের মতো নতুনভাবে সফলতার মুখ দেখেছে, অনেকগুলো অবশ্য পারেনি এখন পর্যন্ত।
পিভিআর আইনক্সের স্ট্র্যাটেজিস্ট নীহারিকা বিজলি এ বছর সেপ্টেম্বরে একটি প্রতিবেদনে জানান, পিভিআর এ বছরের এপ্রিল থেকে আগস্টের মধ্যে ৪৭টি চলচ্চিত্র পুনরায় মুক্তি দিয়েছে। যেখানে এ সময়ের মধ্যে গড়ে ২৫ শতাংশ নতুন চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে, রিপোর্ট অনুযায়ী সেখানে গড়ে পুরোনো চলচ্চিত্র গড়ে ৩১ শতাংশ মুক্তি পেয়েছে।
চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুভব সিনহারর ২০০২ সালের হিট চলচ্চিত্র 'তুম বিন' এ বছর আবার অনেক ধুমধামের সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, নস্টালজিয়া বা স্মৃতিকাতরতা এখানে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে।
'রি-রিলিজ দেখতে সাধারণত দুই ধরনের দর্শক যাচ্ছেন। এক ধরনের দর্শক যারা এ চলচ্চিত্রগুলো প্রেক্ষাগৃহে দেখা মিস করেন। তারা হয়ত এটা ওটিটি বা অন্য কোনো মাধ্যমে দেখেছেন, কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে দেখার অভিজ্ঞতা নিতে চেয়েছেন। অথবা এমন দর্শক, যাদের সেই চলচ্চিত্রকে ঘিরে অনেক স্মৃতি, অনেক নস্টালজিয়া জড়িয়ে আছে, সেটাকেই তারা ফিরে দেখতে চেয়েছেন,' বলেন তিনি।
ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক তারান আদার্শ একমত হয়ে বলেন, ২০১৮ সালের তৎকালীন ফ্লপ ১১৩ মিনিটের পৌরাণিক হরর চলচ্চিত্র টুম্বাডের বর্তমানে সাফল্য পাওয়াই প্রমাণ করে রি-রিলিজের কৌশলটা কাজে দিয়েছে। 'এটা নস্টালজিয়ার ব্যাপারও, কিছু দর্শক হয়ত আবারও বড় পর্দায় চলচ্চিত্রের জাদু উপভোগ করতে চেয়েছেন,' তারান বলেন।
প্রথমবার যখন টুম্বাড মুক্তি পায়, সেভাবে সাড়া জাগাতে পারেনি। কিন্তু ক্রমশ জনপ্রিয়তা আর সমালোচকদের প্রশংসায় এ বছর সেপ্টেম্বরে চলচ্চিত্রটি রি-রিলিজ করা হয় এবং এ দফায় প্রথমবারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো পারফর্ম করে।
'রি-রিলিজে টুম্বাড ২০১৮-এর ওপেনিং উইকেন্ডের তুলনায় ১২৫ শতাংশেরও বেশি আয় করেছে। দর্শক দেখবেই যদি দর্শকের মুখে মুখে সেই চলচ্চিত্রের কথা থাকে এবং প্রেক্ষাগৃহ মালিক ও পরিবেশকরা এ ব্যাপারে জানেন। শাহরুখ খান এবং সালমান খানের মত সুপারস্টাররা প্রেক্ষাগৃহে ফিরে এসেছে কারান অর্জুন রি-রিলিজের মাধ্যমে,' বলেন তারান আদার্শ।
প্রথম ১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক রাকেশ রোশন পরিচালিত পুনর্জন্মের কাহিনি-নির্ভর অ্যাকশন ড্রামা জনরার চলচ্চিত্র 'কারান অর্জুন' আগামী শুক্রবার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে সম্পূর্ণ নতুন ট্রেইলার নিয়ে ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে আসছে।
প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল ৭০-এর দশকে ভারতের তথাকথিত শিল্পনির্ভর চলচ্চিত্র আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রগুলো রি-রিলিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন প্রযোজকেরা।
'যেহেতু এটি একটি সময়সাপেক্ষ এবং জটিল প্রক্রিয়া, আপনি শুধুমাত্র সে-সব চলচ্চিত্রকেই পুনরুদ্ধার করার জন্য বেছে নেবেন যে চলচ্চিত্রগুলো আপনি দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণ করতে ইচ্ছুক,' বেনেগাল বলেন।
'একটি চলচ্চিত্র আপনার যুগ, আমলেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি চলচ্চিত্রের থিম খুব দ্রুতই তার আবেদন হারাতে পারে। যদি প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলচ্চিত্রটির প্রতি আকৃষ্ট হয়, তাহলে বুঝতে হবে চলচ্চিত্রটির মূল বার্তা এখনও দর্শকের কাছে প্রাসঙ্গিক,' আল-জাজিরাকে বলেন বেনেগাল।
এবং এটি কেবল বলিউড বা হিন্দি চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেই নয়, তা পুরোনো দিন এবং তার চলচ্চিত্রের জন্য নস্টালজিয়ার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।
দক্ষিণ ভারতে রজনীকান্ত, কামাল হাসান, চিরঞ্জীবী এবং মোহনলালের মতো মেগাস্টারেরাও নিজেদের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর প্রেক্ষাগৃহে প্রত্যাবর্তন দেখতে পাচ্ছেন। ৭৩ বছর বয়সি রজনীকান্ত এবং ৭০ বছর কামাল হাসান তামিল ভাষার চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সফল দু'জন অভিনেতা।
শ্রী, দক্ষিণ ভারতের তামিল নাড়ু প্রদেশের রাজধানী চেন্নাইয়ের একজন মার্কেটিং পেশাদার। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, রজনীকান্তকে প্রেক্ষাগৃহে দেখার আগ্রহ থেকেই তিনি রি-রিলিজের ব্যাপারে উৎসাহিত হন।
'রি-রিলিজের ব্যাপারে আমি প্রথম শুনি যখন রজনীকান্তের 'বাশা' চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হচ্ছিল। ১৯৯৫ সালে যখন 'বাশা' প্রথম মুক্তি পায়, আমি তখন একদম ছোট ছিলাম, তাই আমার বড় পর্দায় সিনেমাটি কখনো দেখা হয়নি যদিও এটি একটি কাল্ট ক্লাসিক। আমার বড় বোনেরা নস্টালজিয়া থেকে এ সিনেমা দেখতে যেতে চায়, তাই আমিও তাদের সঙ্গে যোগ দেই,' বলেন তিনি।
রজনীকান্তের 'বাশা' (১৯৯৫), হাসানের 'ইন্ডিয়ান' (১৯৯৬) এবং 'গুনাহ' (১৯৯১) এ বছর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এছাড়া নতুন করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে চিরঞ্জীবীর ৬৯তম জন্মদিন উপলক্ষে 'ইন্দ্রা' (২০০২) এবং মোহনলালের 'মানিচিত্রাথাঝু' (১৯৯৩)।
দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর সাংবাদিক অজয় উন্নিকৃষ্ণান বলেছেন, পুরোনো ধ্রুপদীগুলোর রি-রিলিজ একধরনের সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের প্রতীক, বিশেষ করে বর্তমানে বলিউড ফ্লিকের বাজে পারফরমেন্সের আলোকে।
উন্নিকৃষ্ণান বলেন, রি-রিলিজের বিষয়টি সুপারস্টার-নির্ভর দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন কিছু নয়। 'আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে রি-রিলিজের বিষয়টা সবসময়ই ছিল, শুধু মানুষ এখন এদিকে নজর দিচ্ছে বেশি কারণ আজকাল চলচ্চিত্রগুলো তার জনপ্রিয়তার আবেদন হারাচ্ছে,' উন্নিকৃষ্ণান বলেন।
বিশেষজ্ঞ ও চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা এ বিষয়ে একমত। নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ইরা ভাস্কর বলেছেন, বর্তমান রি-রিলিজের বিষয়টা মূলত পুরোনো মদ নতুন বোতলের মতো, দীর্ঘদিন যা ছিল তারই রিপ্যাকেজিং।
ভাস্কর আল-জাজিরাকে বলেন, 'মাল্টিপ্লেক্স যুগের আগে প্রায়শই পুরোনো চলচ্চিত্রগুলো রি-রিলিজ করা হত। যদি বোম্বে (তৎকালীন মুম্বাই) থেকে কোনো হিন্দি চলচ্চিত্র মুক্তি পেত, খুবই সাধারণ ব্যাপার ছিল সেই চলচ্চিত্র বানারসের মতো কোনো ছোট শহরে এক বছর পর মুক্তি দেওয়া হতো।'
যদিও আদার্শ একমত যে, এ ট্রেন্ড ৭০ বা ৮০'র দশকেরই ধারাবাহিকতা, তিনি এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যের দিকেও ইঙ্গিত করেন — অনলাইন স্ট্রিমিং এবং মানুষের ৭০ মিলিমিটিরা পর্দা থেকে স্মার্টফোনে ঝুঁকে পড়া-অন্যান্য বিকল্প মাধ্যমের সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহের প্রতিযোগিতা।
'তবে আমি মনে করি না এখানে কোনো প্রতিযোগিতা আছে, কারণ সিনেমা তো সিনেমাই হয়। বড় পর্দায় একটি সিনেমা দেখার অনুভূতির সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না! এ অনুভূতি পেতে চায় এমন মানুষ সবসময়ই থাকবে।'
অনুবাদ: নওরীন সুলতানা