সত্যি কথা হলো জায়েদ খান ডিস্টার্ব করেন: ফারদিন
থাপ্পড়-কাণ্ডের পর গেল শনিবার থেকে আলোচনায় মৌসুমী, ওমর সানি এবং জায়েদ খান। গণমাধ্যম থেকে শুরু করে শিল্পী সমিতি, সব জায়গায়ই ওমর সানি অভিযোগ করেছেন, জায়েদ খান তার সংসার ভাঙার চেষ্টা করছেন এবং নায়িকা মৌসুমীকে নানা মাধ্যমে বিরক্ত করছেন। সে কারণেই শুক্রবার চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন অভিনেতা।
এদিকে চড় খেয়ে উল্টো পিস্তল বের করে ওমর সানিকে মারার হুমকি দেন জায়েদ। রোববার রাতে এ বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ দায়ের করেন ওমর সানি। যদিও পরদিন, অর্থাৎ আজ দুপুরে মৌসুমী এক অডিও বার্তায় জানান, জায়েদ ভালো ছেলে। তিনি তাকে কখনো বিরক্ত করেননি। তার সঙ্গে মৌসুমীর শুধু পেশাগত সম্পর্ক।
কিন্তু ওমর সানি বারবার দাবি করেছেন, বিরক্ত করার যাবতীয় তথ্য প্রমাণ তাদের ছেলে ফারদিনের কাছে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার দুপুরে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সাথে কথা হয় মৌসুমী ও ওমর সানির ছেলে ফারদিনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, "তার (জায়েদ খান) বিষয়ে সবাই মোটামুটি জানেন। শুধু আমার আম্মা না, উনি কমবেশি সবাইকে হ্যারাস করে থাকেন। উনি আমার আব্বুর সাথেও বেয়াদবি করেছেন, আম্মুর সাথেও করেছেন। কিন্তু আম্মু ভেবেছেন, বিষয়টা সিভিল ম্যাটার, এটা ফ্যামিলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক। আমরা নিজেরাই সলভ করবো।"
ওমর সানি-মৌসুমী দম্পতির ছেলে আরো যোগ করেন, "এটা নিয়ে যেন এত কাদা ছোঁড়াছুড়ি না হয়, সেই চিন্তা থেকেই আম্মু কথাগুলো বলেছেন। যেন বিষয়টা দ্রুত ঠান্ডা হয়। এক জায়গায় দেখলাম আম্মু নাকি বলেছেন, মিথ্যাচারে জড়াচ্ছেন ওমর সানি। এটা আসলে ঠিক না। আম্মু যদি কোথাও স্টেটমেন্ট দেয় আমি বলব, এটা ঠিক না। আসলে এটা পরিস্থিতি ঠান্ডা করার জন্যই বলেছেন। আম্মু আমার সাথে কথাও বলেছেন। উনিও চান নাই পত্রিকায়-টিভিতে এসব নিয়ে আলোচনা বা সংবাদ প্রকাশ হোক।"
বাবা-মার মধ্যে সম্পর্ক এখন কেমন, জানতে চাইলে ফারদিন বলেন, "সব ঠিক আছে। আমি তো আমার আব্বুকে পাচ্ছি, আম্মুকে পাচ্ছি। হ্যাঁ, অনেক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য থাকে। আমিও বিয়ে করেছি। আমাদেরও তো হয়্। এটা স্বাভাবিক। তবে আব্বু আম্মু দুজন চাচ্ছেন যেন বিষয়টা দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। ছেলে হিসেবে আমি তো আব্বু আম্মু দুজনকেই চাইবো। দিন শেষে আমার চাওয়া যেন এটা দ্রুত সমাধান হয়।"
ফারদিনের ভাষ্যে,"২০২২ সালে এটা হাইলাইটস করার মতো কোনো বিষয় না। তবে সত্যি কথা হলো উনি (জায়েদ খান) ডিস্টার্ব করেন। আমি চাইলেও এখন প্রমাণ সবার সামনে হাজির করবো না। উনি আমার ব্যবসারও ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন। এগুলো হয়ত প্রমাণ দিতে পারব না। আমি জানি বিষয়গুলো, পাবলিকলি সব বলবোও না। তবে উনাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাবো এমন না। উনাকে এত গুরুত্ব দিচ্ছি না। জায়েদ খান আর রাস্তার ব্যাঙ এক কথা। তাই উনাকে নিয়ে ভাবছি না।"