ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের ধর্মঘট, ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ
খুলনার রাষ্ট্রয়াত্ত ৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও ১৫ জেলায় তেল পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
জ্বালানি তেল পরিবেশক ব্যবসায়ীরা বলছেন, তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধি বাস্তাবায়ন না হওয়ায় তারা এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
খুলনার রাষ্ট্রয়াত্ত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে রবিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। ফলে ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, আমরা এখন থেকে আর পুরনো রেটে তেল নিব না। গত ২৬ তারিখে সরকার নতুন রেট কার্যকর করার গেজেট প্রকাশ করেছে। কিন্তু আমরা তেল কিনতে গেলে সেই রেটে কোম্পানিগুলো তেল দিচ্ছে না। কোম্পানিগুলো বলছে সরকারের নির্দেশিত রেট তাদের কাছে এখনো পৌঁছেনি। তাই তারা নতুন রেটে তেল আমাদেরকে দিবে না।
"নতুন রেট কার্যকরী না হওয়া পর্যন্ত আমরা তেল উত্তোলন পরিবহন বন্ধ রাখব', বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে তেল উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এরপর সরকারের আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন তারা। পরবর্তীতে ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় কমিশন বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই অনুযায়ী প্রতি ১০০ টাকার অকটেন বিক্রিতে পাম্প মালিকরা চার টাকা ২৮ পয়সা, পেট্রোল বিক্রিতে ৪ টাকা ৩৪ পয়সা, কেরোসিনে ২ টাকা এবং ডিজেলে ২ টাকা ৮৫ পয়সা কমিশন পাবেন।
এর আগে ডিজেলের ২ শতাংশ, পেট্রোলের ৩ শতাংশ এবং অকটেনের ৪ শতাংশ কমিশন ছিল।