পূর্ব ইউক্রেন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে: ঘোষণা রাশিয়ার
ডনবাসে ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের সর্বশেষ ঘাঁটি লিশিচানস্ক দখল করেছে রাশিয়া। এরপর আজ রোববার (৩ জুলাই) এক ঘোষণায় দেশটি জানিয়েছে, মিত্র যোদ্ধাদের সাথে মিলে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লুহানস্কের দখল নিয়েছে। ওই অঞ্চলে তীব্র সংঘাতের তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তবে ইউক্রেনীয় সরকারের পক্ষ থেকে এবিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য জানাতে পারেনি।
পূর্বের ডনবাস অঞ্চলের দুটি প্রদেশ- লুহানস্ক ও দনেয়স্ক। এখানে রুশ বাহিনী এগিয়ে আসছিল গত জুনের শুরু থেকেই।
রোববার (৩ জুলাই) রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লুহানস্ক অঞ্চল 'স্বাধীন' (শত্রুমুক্ত) হওয়ার কথা জানিয়েছেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, লিশিচানস্কের চারপাশের গ্রামগুলিও এখন রাশিয়ানদের দখলে।
সের্গেই শোইগু বলেছেন, রুশ বাহিনী 'লিশিচানস্ক শহরে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে'।
এবিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। তবে দেশটির কর্মকর্তারা শহরটির আবাসিক এলাকায় প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের কথা জানান।
আমেরিকার ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক স্টাডি অব ওয়ারের বিশ্লেষকরা বলেছেন, 'গত ২ জুলাই ইচ্ছে করে পিছিয়ে গেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এতে লিশিচানস্ক রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।"
শহরটির উত্তর ও পূর্ব অংশের এলাকাগুলোয় রুশ সেনাদের বাধামুক্তভাবে ঘুরে বেড়ানোর ভিডিওচিত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা এই উপসংহারে পৌঁছান।
লুহানস্ক অঞ্চলের জন্য ইউক্রেনীয় সরকারের গভর্নর সেরহি গাইডাই রাশিয়ার বিজয় ঘোষণার আগে টেলিগ্রাম অ্যাপে লিখেছিলেন, "লিশিচানস্কের আশেপাশে রাশিয়ানরা দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে, শহরে আগুন জ্বলছে। শহরে আক্রমণ চালাতে তারা প্রচণ্ড নির্মম কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।"
যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনের অভিযোগ, গোলাবর্ষণ করে একের পর এক শহর গুঁড়িয়ে দিচ্ছে রাশিয়া।ইচ্ছে করেই বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে। কিন্তু, এসব অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে আসছে মস্কো।
মস্কোর দাবি, ইউক্রেনকে নাৎসিবাদী কট্টর-জাতীয়বাদীদের হাত থেকে মুক্ত করতে সেখানে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
- সূত্র- রয়টার্স