যুক্তরাষ্ট্রের ফোন ধরছে না চীন
হোয়াইট হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে চলতি সপ্তাহে মার্কিন সামরিক দপ্তরের একাধিক ফোনকলের জবাব দেননি চীনের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির মতে, পেলোসি ও তার প্রতিনিধিদলের সফরকে ঘিরে প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের ফোনকলের উত্তর দেয়নি চীন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো'র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এবং জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলির যোগাযোগ প্রচেষ্টাকে এড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাইওয়ানের চারপাশে ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনসহ ভারি সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে বেইজং।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফোনকলের জবাব না দিয়ে চীনের সামরিক শক্তির প্রদর্শন একটি অদূরদর্শী এবং বেপরোয়া পদক্ষেপ। ইতোমধ্যেই এটি পরিস্থিতির উত্তেজনা বাড়াতে শুরু করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এশিয়া নীতি বিষয়ক পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তা র্যান্ডি শ্রাইভার বলেন, "যদি (চীনা সামরিক বাহিনী) আরও আক্রমনাত্মকভাবে কাজ করে, তবে একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য আমাদেরও একই প্রক্রিয়ায় এগোতে হবে।"
মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা চীনের মতো প্রতিপক্ষের সঙ্গে সম্ভব্য দুর্ঘটনা এবং ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে একটি উন্মুক্ত যোগাযোগব্যবস্থা বজায় রাখেন। মার্কিন রাজনীতিবিদ পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ঘিরে চীন-মার্কিন সম্পর্কে নতুন যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তার ঝুঁকি এড়াতে ফোনকলের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে পেন্টাগন। তবে এতে সাড়া দেয়নি বেইজিং।
পেন্টাগন জানিয়েছে, জেনারেল মিলির সঙ্গে তার চীনা প্রতিপক্ষ চিফ অফ দ্য জয়েন্ট স্টাফ জেনারেল লি জুওচেং-এর সর্বশেষ ফোনালাপ হয়েছিল গত ৭ জুলাই। জেনারেল মিলির অফিসের এক বিবৃতি অনুসারে, এ সময় দুই সামরিক কর্মকর্তা ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে উন্মুক্ত যোগাযোগের উপায় বজায় রাখার পাশাপাশি ঝুঁকি হ্রাসের বিষয়ে আলাপ করেছিলেন।
- সূত্র: পলিটিকো