সু চি’র কারাদণ্ড বাড়িয়ে ২৬ বছর করলো মিয়ানমারের আদালত
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির দায়ে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সেদেশের একটি আদালত। এনিয়ে সু চি'র কারাদণ্ডের মেয়াদ বেড়ে দাঁড়ালো মোট ২৬ বছর। খবর সিএনএন'র।
বুধবার (১২ অক্টোবর) ৭৭ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী সু চি'র বিরুদ্ধে এ রায়ের ঘোষণা আসে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন সু চি। এরপর থেকে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে সাজা শোনাচ্ছে দেশটির জান্তা পরিচালিত আদালত।
সিএনএন'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চি'র বিরুদ্ধে স্থানীয় এক টাইকুনের কাছ থেকে ৫ লাখ ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এতে তার শাস্তির মেয়াদ আরও ৩ বছর বাড়ানো হয়। তবে জান্তা সরকারের চাপানো এই দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সু চি। তার আইনজীবীরা বলেছেন, সু চি'র বিরুদ্ধে আনা অপরাধের ধারাবাহিক অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
গতমাসে দুর্নীতির আরেকটি অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। এ সময়, ২০২০ সালের নির্বাচনী প্রচারণাকালে জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হন ক্ষমতাচ্যুত এই নেত্রী।
২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সামরিক বাহিনী গঠিত একটি রাজনৈতিক দলকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে জয়ী হয় সুচি'র দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি। ওই নির্বাচনকেই মেনে নিতে পারেনি দেশটির সামরিক জান্তা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চি সহ তার দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
বর্তমানে সু চিকে রাজধানী নেইপিদোর একটি কারাগারে রাখা হয়েছে।