সিনেটের এক আসন ডেমোক্র্যাটদের দখলে, তবে রিপাবলিকানরা চাইছে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে রিপাবলিকরানরা এগিয়ে আছে। এই পূর্বাভাস অবশ্য আগেই দিয়েছিলেন বিশ্লেষকরা। তবে পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণে রিপাবলকান দল যতটা এগিয়ে থাকবে ভাবা হয়েছিল, ততটা এগোতে পারেনি। পেনসিলভেনিয়ায় রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত একটি সিনেট আসনে জয়ী হয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। এর মাধ্যমে ফলাফল খানিকটা পূর্বানুমানের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা প্রায় শেষ। এরইমধ্যে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসতে শুরু করেছে ফলাফল। কিছু আসনে রিপাবলিকানরা নিজেদের নিশ্চিত জয় ধরে রাখলেও সেখানে তাদের জয় সীমিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমনকি ঐতিহাসিক গড়ের চেয়েও রিপাবলিকানদের অবস্থান নিচে নামতে পারে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দল এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতার লক্ষ্যে সিনেটে ভারসাম্য ধরে রেখেছে। সিনেটের ১০০টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৫১টি আসন দখলের। সেখানে এখন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলকান উভয় দলেরই অর্জন ৪৮টি করে আসন। এবং প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ডেমোক্রেটরা জয়ী হয়েছে ১৭৮টি আসনে, অন্যদিকে রিপাবলিকানরা পেয়ছে ১৯৮টি আসন।
চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যে চারটি অঙ্গরাজ্যের দিকে সবার চোখ, সেগুলো হলো- জর্জিয়া, পেনসিলভেনিয়া, অ্যারিজোনা এবং নেভাডা। এরমধ্যে পেনসিলভেনিয়ার সিনেটের দৌড়ে রিপাবলিকান টেলিভিশন সেলিব্রিটি মেহমেত ওজকে হারিয়েছেন ডেমোক্র্যাট জন ফেটারম্যান। যদিও অল্পের ব্যাবধানে হেরেছে রিপাবলিকান, তারপরেও ডেমোক্র্যাটদের জন্য এই জয় অনেক বড়। ফেটারম্যানের বিজয়ের মাধ্যমেই সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার পথে এগোচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। মধ্যবর্তী নির্বাচনে এখন পর্যন্ত এটিই বোধহয় ডেমোক্র্যাটদের জন্য সবচেয়ে বড় জয়।
অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট টিম রায়ানকে পরাজিত করে ওহাইও-তে একটি সিনেট আসনের দখল নিয়েছেন রিপাবলিকান জেডি ভ্যান্স। অ্যারিজোনাতে আবার রিপাবলিকান ব্লেক মাস্টারের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ডেমোক্র্যাট মার্ক কেলি। এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত ফল জানা যায়নি এই অঙ্গরাজ্যে।
সিবিএস নিউজের বিশ্লেষণ অনুসারে, জর্জিয়ায় ডেমোক্র্যাট রাফেল ওয়ার্নক ও রিপাবলিকান হার্শেল ওয়াকারের মধ্যে হতে চলেছে টস-আপ।
বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আসন ডেমোক্র্যাটরা ধরে রাখলেও ফ্লোরিডায় আবার রিপাবলিকানরাই এগিয়ে রয়েছে।
মোটের ওপর পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে মার্কিন ভোটারদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। চলমান অর্থনৈতিক মন্দা, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, চাকরি সংকটসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মতো ব্যাপারগুলো মধ্যবর্তী এই নির্বাচনে প্রভাব রাখছে।