ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লড়াই শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা ও অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে মার্কিন প্রশাসনের কাছে কয়েকমাস ধরে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছিল কিয়েভ। অবশেষে, কিয়েভকে মার্কিন বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, প্যাট্রিয়ট দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনাটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডের অনুমোদনের আগে এতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের অনুমোদনের প্রয়োজন।
আশা করা হচ্ছে, এই সপ্তাহের মধ্যেই পরিকল্পনাটিতে অনুমোদন দেবেন প্রতিরক্ষা সচিব। তবে, ঠিক কবে নাগাদ এবং কতটি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে পাঠানো হবে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
কতটা কার্যকর প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র?
প্যাট্রিয়ট মিসাইল ব্যাটারিতে রয়েছে একটি পাওয়ার ইউনিট; একটি কমান্ড স্টেশন; একটি রাডার ইউনিট ও অ্যান্টেনা এবং সর্বোচ্চ আটটি ট্রাক-মাউন্টেড লঞ্চার, যার প্রতিটিতে চারটি সারফেস টু এয়ার মিসাইল রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটির পরিসীমা ৯৯ মাইল বা ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত এবং এটি আগত মিসাইল বা বিমানকে আটকাতে সক্ষম।
রুশ বার্তাসংস্থা রাশিয়া টুডে'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপসাগরীয় যুদ্ধে প্যাট্রিয়ট সিস্টেমটি ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। পেন্টাগনের দাবি, ছয় সপ্তাহের ওই সংঘাতে ৪৭টি ইরাকি স্কাড ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৪৫টিই সফলভাবে আটকেছিল প্যাট্রিয়ট। তবে, পরবর্তীতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, যুদ্ধে প্যাট্রিয়ট আসলে তেমন কর্যকর ছিল না, একটি বা কোনো স্কাডই আটকাতে পারেনি এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা।
এছাড়া, ইয়েমেন থেকে হুথিদের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে প্যাট্রিয়ট ব্যবহার করেছিল সৌদি আরব। তখনও এটি তেমন কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়নি। পরে ২০১৭ সালে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে প্যাট্রিয়ট সিস্টেমটিকে অকার্যকর বলে উল্লেখ করা হয়।