ড্রোন ভেবে ৩ ঘণ্টা পাখি তাড়া করল দক্ষিণ কোরিয়ার এফ-১৫, কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমান
প্রথমে সবাই ভেবেছিলেন বস্তুটি উত্তর কোরিয়ার ড্রোন। তাই এফ-১৫কে ও কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমান আকাশে উড়িয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী। পরে দেখা গেল, একঝাঁক পাখিকে ড্রোন হিসেবে ভুল করেছেন তারা। খবর জানিয়েছে দ্য ইউরেশিয়ান টাইমস।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ঘটেছে এ ঘটনা। উত্তর কোরিয়া থেকে পাঁচটি আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশের একদিন পর এমন ঘটনা ঘটল।
সিউলের দক্ষিণে গাংঘোয়া কাউন্টিতে 'ড্রোন' প্রবেশের খবর পেয়ে স্থানীয় সময় বিকেল তিনটার দিকে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের সাবধানে থাকতে সতর্কতা জারি করে। এরপর দেশটির সশস্ত্রবাহিনী এফ-৩৫কে যুদ্ধবিমান, কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমান, কেএ-১ অ্যাটাক এয়ারক্রাফট, এবং অ্যাপচি ও কোবরা হেলিকপ্টার মোতায়েন করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমে এক জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কর্মকর্তা জানান, শেষ পর্যন্ত ওই বস্তুটিকে পাখির ঝাঁক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তারপরও বিমানবাহিনী ওই পাখিগুলোকে তিন ঘণ্টা ধরে তাড়া করেছিল বলে জানা গেছে।
দেশটির জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম কেবিএস নিউজ-এর তথ্যমতে এক বিবৃতিতে জয়েন্ট চিফেরা জানিয়েছেন, 'আমরা এটাকে ১টা থেকে ৪টার মধ্যে চিহ্নিত ও অনুসরণ করি।'
এর আগেও পাখির ঝাঁককে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন হিসেবে ভুল করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। রাডারে এ ড্রোনগুলো পাখির আকারেই ধরা পড়ে। ২০১৯ সালে পাখিকে ভুল করে ড্রোন মনে করার কারণে একটি কেএফ-১৬ মোতায়েন করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া।
সিউল জানিয়েছে, সোমবার উত্তর কোরিয়ার পাঁচটি নজরদারি ড্রোন দেশ সীমান্ত অতিক্রম করেছে এবং একটি রাজধানী পর্যন্ত চলে এসেছিল।
কিন্তু ওই ড্রোনগুলোর কোনোটিকে ইন্টারসেপ্ট করতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টারগুলো। বরং ড্রোনগুলো তাড়া করতে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কেএ-১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।
এতে কেউ আহত না হলেও বিষয়টি নিয়ে পরিতাপ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ। একইসঙ্গে ড্রোন হুমকি মোকাবিলা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে 'আগ্রাসিভাবে' সাজানোর প্রতিশ্রুতিও দেয় এটি।