ফিলিপাইনে পেঁয়াজের বাজারে আগুন! কেজি ১১০০ টাকা
ফিলিপাইনের খাবারদাবারে পেঁয়াজ একটি অপরিহার্য উপাদান। কিন্তু সেই পেঁয়াজের দাম এখন দেশটিতে আকাশ ছুঁয়েছে। খবর মার্কিন গণামাধ্যম সিএনএন-এর।
দেশটিতে এখন মুরগির চেয়ে তিনগুণ বেশি দামি পেঁয়াজ। এমনকি গরুর মাংসও পেঁয়াজের চেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে সেখানে।
ফিলিপাইনে গত সোমবার লাল ও সাদা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০০ ফিলিপাইন পেসোতে বিক্রি হয়েছে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১০০ টাকার সমান।
দেশটির কৃষি বিভাগের তথ্যমতে সেখানে মুরগির কেজি ২২০ পেসো বা প্রায় ৪০০ টাকা। অন্যদিকে গোমাংসের দাম পেঁয়াজের চেয়ে ৩০ শতাংশ সস্তা।
ফিলিপাইনে গতবছর সুপার টাইফুন আঘাত হানার ফলে সৃষ্ট বন্যায় কয়েক বিলিয়ন পেসোর সমমূল্যের ফসল নষ্ট হয়। এর ফলেই পেঁয়াজের দাম এমন লাগামছাড়া হয়েছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতিও বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম ৮.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় গত ডিসেম্বরে।
চোরাচালান করে আনা হচ্ছে পেঁয়াজ
পেঁয়াজের এ অগ্নিমূল্যের কারণে ফিলিপাইনে এখন এ ফসলটি পাচারের মাধ্যমে বাইরে থেকে আনা হচ্ছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর দেশটির কাস্টমস কর্মকর্তারা কাপড়ের নাম দিয়ে আনা প্রায় ৩১০,০০০ ডলার মূল্যের সাদা পেঁয়াজ জব্দ করেছেন।
তার দুইদিন আগে চীন থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ৩৬৪,০০০ হাজার ডলার সমমূল্যের লাল পেঁয়াজের চালান জব্দ করা হয়।
চোরাচালান রোধে ফিলিপাইনের একজন সিনেটর শেরউইন 'উইন' গ্যাটচালিয়ান একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশটির কৃষি বিভাগের সহকারী সচিব রেক্স এস্তোপেরেজ জানিয়েছেন, সরকার পেঁয়াজের চোরাচালান ঠেকাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু সমস্যাটি এখনো প্রকট।
আমদানি করা হচ্ছে পেঁয়াজ
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ও কৃষিসচিব ফার্দিন্যান্ড মার্কোস জুনিয়র এ সপ্তাহে ২১,০৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছেন। আগামী ২৭ জানুয়ারি নাগাদ এ পেঁয়াজ দেশটিতে পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ফিলিপিনোরা মাসে প্রায় ২০,০০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খায় বলেও জানান তিনি। 'সাময়িক সমাধান' হিসেবে এ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই নতুন পেঁয়াজের ফসল তুলতে শুরু করবেন দেশটির কৃষকেরা। তখন এ সবজিটির দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।