মৃত্যুর আগে লাইভে ভারতীয় যাত্রী, তারমধ্যেই বিধ্বস্ত নেপালের বিমান
রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ৭২ জন যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয় নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে।
নেপালের দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে ছিলেন ভারতের পাঁচ যাত্রী। এদের একজন সোনু জয়সওয়াল অবতরণের আগ মুহূর্তে বিমানে বসে ফেসবুক লাইভ শুরু করেন।
ভিডিওতে বিমানের ভিতরে বসে থাকা যাত্রীদের এবং বিমানের জানালা থেকে নীচে পোখরা শহরের ভিউ দেখা যায়।
এরপর হঠাৎই একটি বিস্ফোরণ হয় এবং ফোনটি ছিটকে পড়ে।
ভিডিওটির শেষ কয়েক সেকেন্ডে জানালার বাইরে ভয়াবহ আগুন দেখা যায়; আতঙ্কিত যাত্রীদের কান্নাও শোনা যায়।
নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ ভারতীয় হলেন সোনু জয়সওয়াল (৩৫), অনিল কুমার রাজভার (২৭), অভিষেক কুশওয়াহা (২৭), বিশাল শর্মা (২২) এবং সঞ্জয় জয়সওয়াল (২৬)।
কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এর ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার দুটোরই সন্ধান পাওয়া গেছে।
সোমবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে নেপাল; দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য একটি সরকারি প্যানেল গঠন করা হয়েছে।
নিহতদের মরদেহগুলো শনাক্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত নেপালে বিমান বা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩০৯ জন মারা গেছেন। হিমালয়ের দেশ নেপালে বিমান দুর্ঘটনার ঝুঁকি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি; এখানে হঠাৎই আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।নিরাপত্তা উদ্বেগজনিত কারণ দেখিয়ে তাই, ২০১৩ সাল থেকে নেপালি এয়ারলাইন্সকে নিজেদের আকাশসীমায় নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।