রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা দিলে চীনকে চড়া মূল্য দিতে হবে: হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
রাশিয়াকে কোনোরকম প্রাণঘাতী (সামরিক) সহায়তা দেওয়ার পদক্ষেপ নেয়নি চীন; দেশটির কর্মকর্তাদের সাথে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে বেইজিংকে চড়া মূল্য দিতে হবে। খবর রয়টার্সের
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) একথা বলেছেন, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এর 'স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন' অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, '(রাশিয়ার সাথে সম্পর্কে) বেইজিং কীভাবে এগোবে, অর্থাৎ সামরিক সহায়তা দেবে কিনা – সেবিষয়ে তাদের নিজেদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু, যদি তারা সেই পথ বেছে নেয়– তাহলে চীনকে প্রকৃত মূল্য দিতে হবে'।
অবশ্য এবিসি নিউজের 'দিস উইক' অনুষ্ঠানে দেওয়া পৃথক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বেইজিং এ ধরনের সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে একইসঙ্গে এই উপায়টি তারা বিবেচনাতেও রেখেছে।
সুলিভান বলেন, মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের চীনা সমকক্ষদের সাথে রুদ্ধদ্বার আলোচনাকালে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নিলে দেশটিকে চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। তবে গোপন ওইসব আলোচনার আরো বিস্তারিত জানাননি তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা না দিতে বার বার চীনকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো জোটের মিত্র দেশগুলো। পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করছেন, বেইজিং এটা করতেও পারে। আর সেজন্যই প্রকাশ্যে কঠিন পরিণতির হুমকি দিচ্ছেন।
রোববার চীনের বিষয়ে এমন ধারণার কথা জানিয়েছেন, মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা-সিআইএ-র পরিচালক উইলিয়াম বার্নস।
সিবিএস নিউজের 'ফেস দ্য নেশন' অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বার্নস বলেন, 'আমরা নিশ্চিত চীনের নেতৃত্ব (রাশিয়াকে) মারণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তবে এবিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই আমরা জানতে পেরেছি। তাছাড়া, প্রকৃতপক্ষে কোনো সমরাস্ত্র চালান পাঠানোর ঘটনাও আমরা দেখিনি'।
এর আগে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা মাইকেল ম্যাককল বলেন, মার্কিন গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ড্রোনসহ বিভিন্ন মারণাস্ত্র রাশিয়ায় পাঠানোর কথা ভাবছে বেইজিং।