শি-পুতিন বৈঠক বেশ ‘উদ্বেগজনক বার্তা’ দিচ্ছে: পেন্টাগন প্রধান অস্টিন
গত ২০ মার্চ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করতে মস্কোতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নিয়ে মুখ খুলেছে আরেক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে পুতিন-জিনপিং এর বৈঠককে 'উদ্বেগজনক বার্তা' হিসেবে দেখছে তারা। খবর দ্য হিলের।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড জেমস অস্টিন বলেন, "পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ এবং মস্কোতে বেশ কয়েকদিন শি জিনপিংয়ের অবস্থান খুবই 'উদ্বেগজনক বার্তা' দিচ্ছে। আমার মতে, এটি পুতিনকে অনেকটা সমর্থন দেওয়ার মতো।"
পশ্চিমা পরাশক্তির দেশগুলো বহুদিন ধরেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনের প্রতি চীনের পরোক্ষ সমর্থন দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করে আসছিল। এবার শি জিনপিংয়ের সফরকে কেন্দ্র করে যেন আবারও একই অভিযোগ করলো যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও এখন পর্যন্ত বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধে সরাসরি সহায়তা করার কোনো প্রমাণ পায়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে পেন্টাগন প্রধান মনে করেন, মস্কোতে শি জিনপিং এর উপস্থিতিই অনেকটা উদ্বেগের ব্যাপার।
অস্টিন বলেন, "চীন যদি রাশিয়াকে কোনো সরাসরি সহায়তা দেওয়ার কথা চিন্তা করে থাকে তাহলে সেটি যুদ্ধকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করবে। এর ফলে শুধু ঐ অঞ্চলেই নয়, বরং পুরো বিশ্বেই সংঘাত ছড়িয়ে যাবে।"
রাশিয়াকে কোনো ধরনের প্রাণঘাতী সহযোগিতা না করার জন্য গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনকে সাবধান করা হয়েছিল। এমন কিছু করা হলে তার 'পরিণাম' ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অভিযোগ করেছেন, শি জিনপিং রাশিয়া সফরের মাধ্যমে পুতিনকে 'রাজনৈতিকভাবে সমর্থন' দিচ্ছেন।
তবে তাদের প্রেসিডেন্টের এ সফরকে 'বন্ধুত্ব, পারস্পরিক সহযোগিতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার' সফর বলে উল্লেখ করেছে চীন। একইসাথে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দেশ হিসেবে চীনের ভূমিকা নিরপেক্ষ বলে দাবি করে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে কথা বলেছে বেইজিং।
তাছাড়া যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনো ধরনের অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন। উল্টো, যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিকে 'আগুনে ঘি ঢালার' সাথে তুলনা করেছে তারা।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মস্কোয় এটি চীনের প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর। সফরকালে শি জিনপিং রাশিয়া ও চীনকে 'কৌশলগত পার্টনার' এবং 'বড় প্রতিবেশি শক্তি' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।