রাহুলই প্রথম নন, তার আগে গান্ধী পরিবারের সোনিয়া ও ইন্দিরাও সাংসদ পদ হারিয়েছিলেন
শুক্রবার লোকসভার সাংসদ পদ হারিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি ছিলেন ওয়াইনাডের সাংসদ। খবর ইন্ডিয়াটুডে-র।
'মোদী' পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে সাংসদ পদ খারিজের পাশাপাশি ২ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালে করা 'সব চোরের পদবি কেন মোদি হয়' এই মন্তব্যের জন্য এ সাজা পেলেন তিনি।
আদালত অবশ্য রাহুলকে জামিন দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ দিয়েছেন।
তবে রাহুলই প্রথম নন, তার আগেও গান্ধী পরিবারের আরও দুই সদস্যও সাংসদ পদ হারিয়েছিলেন।
এর আগে রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী ও দাদি ইন্ধিরা গান্ধীও লোকসভার সদস্যপদ হারিয়েছেন।
ইন্ধিরা গান্ধী যখন সাংসদ পদ হারিয়েছিলেন
জরুরি অবস্থার অবসানের পর ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে বড় ব্যবধানে হারেন ইন্দিরা গান্ধী। তবে ১৯৭৮ সালে কর্নাটকের চিকমাগালুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে লোকসভায় পৌঁছেন ইন্দিরা।
তবে লোকসভায় পৌঁছার পর ১৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই ইন্দিরার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি কর্মকর্তাদের অপমান ও পদের অপব্যবহার করার অভিযোগ তোলেন। সাত দিন বিতর্কের পর ইন্দিরার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের জন্য 'প্রিভিলেজ কমিটি' গঠন করা হয়।
তদন্তে কমিটি ইন্দিরার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য বলে সিদ্ধান্ত দেয়। এরপর ইন্দিরা সাংসদ পদ খারিজ করা হয়, পাশাপাশি তাকে তিহার জেলেও পাঠানো হয়।
তবে তিন বছরের মধ্যেই জনতা সরকারের পতন হয়। এরপর ১৯৮০ সালের পুনর্নির্বাচনে জিতে আবারও প্রধানমন্ত্রী হন ইন্দিরা গান্ধী।
সোনিয়া গান্ধী যখন সাংসদ পদ হারিয়েছিলেন
২০০৬ সালে তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে 'স্বার্থের সংঘাতে' জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে সংসদে। ওই সময় কেন্দ্রে ছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। সোনিয়া ছিলেন রায়বারেলির সাংসদ ও কংগ্রেস-প্রধান। পাশাপাশি তৎকালীন ইউপিএ সরকারের গঠন করা জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। এ কারণেই সোনিয়ার বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠে।
এ বিতর্ক থামাতে সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে লোকসভা থেকে পদত্যাগ করেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি ফের রায়বারেলি থেকে নির্বাচন করে জয়ী হন।
রাজনৈতিক উত্থান-পতনের পর ইন্দিরা ও সোনিয়া গান্ধী দুজনেই শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছিলেন। গান্ধী পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে সাংসদ পদ হারালেন রাহুল। এখন তিনিও মা-দাদির মতো আবারও সংসদে ফিরতে পারেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।