অফিসে এসে কাজ করলে ক্যারিয়ার উন্নয়নে ২৫ শতাংশ বেশি সময় ব্যয় করতে পারেন কর্মীরা: গবেষণা
কর্মস্থলে এসে কাজ করা কর্মীরা বাড়িতে অফিস করা কর্মীদের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি সময় ক্যারিয়ার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় করেন। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর হোম-অফিস নিয়ে কাজ করা একদল অর্থনীতিবিদের বিশ্লেষণ করা তথ্য এমন ইঙ্গিত দিয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ-এর।
যারা অফিসে এসে কাজ করেন, তারা সপ্তাহে ৪০ মিনিটের বেশি সময় অন্যদের পরামর্শ দেওয়া, প্রায় ২৫ মিনিট আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ও আরও ১৫ মিনিট পেশাদার উন্নয়ন ও শিক্ষণীয় কার্যক্রমে অংশ নেন বলে ডব্লিউএফএইচ রিসার্চ নামক ওই অর্থনীতিবিদ দলটির তথ্যে জানা গেছে। এ দলে আছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ নিকোলাস ব্লুম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২,৪০০-এর বেশি প্রাপ্তবয়স্ক কর্মীদের ওপর জরিপ চালিয়ে এ গবেষণাটি করা হয়েছে। এ জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের হোম-অফিস করার সুযোগ ছিল।
দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাংকগুলো কর্মীদের আরও বেশি অফিসে আনার লক্ষ্যে কর্পোরেট ক্যাম্পেইনের অগ্রভাগে ছিল। কিন্তু তাদের এ চেষ্টা কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে নমনীয়তার দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে ওঠে।
এর আগে বসেরা অফিসে এসে কাজ তথা ইন-পার্সন মেন্টরিং ও পেশাদার উন্নয়নের সপক্ষে তাদের বক্তব্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে খুব বেশি শক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেননি। কিন্তু এখন তাদের দাবিকে আরও শক্ত করার জন্য ডব্লিউএফএইচ রিসার্চ-এর প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেল।
এর বাইরে আরও নতুন দুইটি গবেষণায়ও অফিসে এসে কাজের সুফলের কথা বলা হয়েছে। 'দ্য পাওয়ার অভ প্রক্সিমিটি' শীর্ষক একটি গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, অফিসে এসে কাজ করলে তার অসাধারণ প্রভাব পড়ে কর্মক্ষেত্রের প্রশিক্ষণের ওপর। আর এ প্রভাবটি তরুণ কর্মীদের ওপর আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করা হয়েছে ওই গবেষণাটিতে।
'জ্যেষ্ঠ কর্মীরা অফিসে না এলে তা তরুণ কর্মীদের দক্ষতা অর্জনকে অবনমিত করতে পারে,' বলে নিজেদের প্রতিবেদনে মত প্রকাশ করেছেন ডব্লিউএফএইচ রিসার্চ-এর অর্থনীতিবিদেরা।
অন্যদিকে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও ইউনিভার্সিটি অভ ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট বার্কলির দুই গবেষকের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব কর্মীর সঙ্গে তাদের ম্যানেজারদের নিয়মিত দেখা হয়, তাদের পদোন্নতিও দ্রুত হয়। 'ম্যানেজারদের সঙ্গে কর্মীদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া কর্মীদের ক্যারিয়ারের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে,' নিজেদের গবেষণায় লেখেন ওই দুই গবেষক।