বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: আরসিবিসি’র সাবেক ম্যানেজারের সাজা বহাল রাখলো ফিলিপাইন
২০১৬ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় অর্থ পাচারের অপরাধে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক ব্যাংক ম্যানেজার মাইয়া সান্তোস দেগুইতোর সাজা বহাল রেখেছে ফিলিপাইনের আপিল আদালত।
চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা এ আদেশে [বুধবার (১৯ এপ্রিল) প্রকাশিত] আদালত মাইয়া দেগুইতোর আপিল আবেদন খারিজ করে দেয়।
ম্যানিলা স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে ৮টি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করার সিদ্ধান্ত বহাল রাখে আদালত।
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউইয়র্কের বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অজ্ঞাত হ্যাকাররা ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট পেমেন্ট সিস্টেমে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে।
চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে ম্যানিলার রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) এর চারটি অ্যাকাউন্টে ৮১ মিলিয়ন ডলার এবং শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে আরও ২০ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করা হয়।
এই ৮১ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ চুরি সাথে সম্পৃক্ততার জন্য অর্থ পাচারের দায়ে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে দোষী সাব্যস্ত হন মাইয়া দেগুইতো।
৮টি অভিযোগের প্রতিটির জন্য তাকে ৪ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয় ফিলিপাইনের আদালত।
সেইসাথে তাকে মোট ১০৯ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়।
এ পর্যন্ত, ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ১৮ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
সন্দেহ করা হয় যে, ড্রাইডেক্স ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে এই সাইবার অপরাধ ঘটানো হয়।
২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের উপ-পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা মতিঝিল থানায় অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।