ঘৃণার বাজার বন্ধ, ভালোবাসার দোকান খুলেছি: কর্ণাটকে বিজেপিকে হারিয়ে রাহুল গান্ধী
ভারতের কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছিলেন রাহুল গান্ধী। গত বছর যখন গুজরাট নির্বাচনের উত্তাপ লেগেছিল জাতীয় রাজনীতির মহলে, তখন রাহুল ছিলেন কর্ণাটকে। সেই রাজ্যে ২১ দিন ধরে 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় হাঁটেন তিনি।
চলতি বছরও কর্ণাটকের উত্তর থেকে দক্ষিণ চষে বেড়ান রাহুল। করেন একাধিক জনসভা। মানুষের মাঝে মিশে যান। ওঠেন বাসে, চাপেন বাইকের পেছনে।
প্রচারের সময় বারবার রাহুল গান্ধীর গলায় শোনা গেছে 'ভালোবাসার বার্তা'। এই আবহে আজ (১৩ মে) কংগ্রেস জিততেই ফের রাহুলের গলায় শোনা গেল সেই 'ভালোবাসার বার্তা'।
প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী আজ বলেন, 'কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে, ভালোবাসার দোকান খুলেছে।' পাশাপাশি এই ফলাফলের জন্য তিনি কর্ণাটকবাসীকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে কর্ণাটক বারবার সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়েছে। হিজাব ইস্যু থেকে শুরু করে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার কংগ্রেসি প্রতিশ্রুতি—রাজ্যটিতে বারবার তৈরি হয়েছে উত্তেজনাপূর্ণ আবহাওয়া। এ আবহে 'ঘৃণার' ইস্যুতে বিজেপিকে বারবার খোঁচা দিয়ে এসেছে কংগ্রেস। আর আজ রাজ্যের ক্ষমতা দখল নিশ্চিত করে ফের বিজেপিকে সেই খোঁচাই দিলেন রাহুল।
তিনি বলেন, 'আমি সবার আগে কর্ণাটকের বাসিন্দা, কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই নির্বাচনে একদিকে ছিল পুঁজিবাদীরা, অপরদিকে ছিলেন গরিব মানুষরা। অন্যান্য রাজ্যেও এ-ই হবে। আমরা গরিবদের পাশে ছিলাম। আমার ভালো লেগেছে যে আমরা কোনো হিংসা বা বাজে কথা বলে লড়িনি। ভালোবাসা দিয়ে লড়েছিলাম।'
এদিকে এদিন সিদ্দারামাইয়া থেকে শুরু করে ডিকে শিবকুমার, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের গলায় রাহুলের প্রশংসা শোনা গেছে। সিদ্দারামাইয়া আজ বলেন, 'আমি আশা করি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবেন।'
এদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়ে দেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন রাহুল।
কর্ণাটকে রাহুল মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রচার করেন দলের হয়ে। মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রচুর জনসভা করেছেন। তারও আগে অবশ্য গত বছর পদযাত্রার মাধ্যমে রাজ্যের একাধিক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন এই কংগ্রেস নেতা।
রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর এটাই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন ছিল কোনো রাজ্যে। এই আবহে এ জয়কে রাহুলের প্রতি মানুষের 'সমর্থন' হিসেবেই তুলে ধরতে চাইছে শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেস।