কম্বোডিয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রের
রোববার (২৩ জুলাই) কম্বোডিয়ার জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির (সিপিপি) ভূমিধস বিজয়ের পর দেশটির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসাথে কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচিও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান, ওয়াশিংটন এ নির্বাচনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কারণ বিরোধীদল ছাড়াই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেন যে নির্বাচনে গতকাল জয়লাভ করেছেন তা অবাধ কিংবা সুষ্ঠু কোনোটিই হয়নি।
মিলার বলেন, "নির্বাচনের আগে কম্বোডিয়ান কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে যে ধরনের হুমকি-হয়রানিমূলক প্রবণতা দেখিয়েছে তা দেশটির সংবিধানের চেতনা এবং কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।"
"প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেসব ব্যক্তির উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিয়েছে যারা গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ণ করেছে; এছাড়াও কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করা হচ্ছে", যোগ করেন তিনি।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে ক্ষমতায় টিকে রয়েছেন। রোববারের নির্বাচনেও যে তার দল, কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) সহজ জয় পাবে সেই ধারণা করা হচ্ছিল অনেক আগে থেকেই।
রোববারের নির্বাচনকে কম্বোডিয়ার ইতিহাসে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক বলা হচ্ছে। এই সমালোচনার অন্যতম কারণ দেশটির প্রধান বিরোধীদলকে বাদ দিয়ে করা হয় এ নির্বাচন।
নিবন্ধন-সংক্রান্ত ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে গত মে মাসে সিপিপির প্রধান প্রতিপক্ষ ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
এর আগে ২০১৮ সালে হুন সেন যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখনও সুকৌশলে বিরোধী দলকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা হয়েছিল। ওই সময়ের জনপ্রিয় প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকেও তখন আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।