ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা বর্জন অনেক দেশের
চলতি মাসে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলা- 'ফ্রাঙ্কফুর্ট বুকম্যাসে'। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের পর এ মেলার আয়োজকরা ইসরায়েলকে সমর্থন জানান। এর প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ও তাদের প্রকাশক সংস্থা এবারের বইমেলা বর্জন করছে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে ইসরায়েলিদের বক্তব্য প্রচারে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে একজন ফিলিস্তিনি লেখককে পুরস্কৃত করার অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়। এসব ঘটনায় মেলা বর্জনকারী দেশ বা তাদের প্রকাশক কর্তৃপক্ষগুলো ক্ষুদ্ধ হয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'পক্ষালম্বন করে আয়োজকরা ইসরায়েলকে প্লাটফর্ম করে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেন, তাতে এই সংলাপের আদর্শ এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া তৈরি প্রচেষ্টা ক্ষুন্ন হয়েছে।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ অপেক্ষা করে কেবলমাত্র ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়া যেন মাত্র একটি বই পড়ে পুরো বিশ্বকে বোঝার চেষ্টা।'
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। ইসরায়েলের সাথে তাদের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মেলায় অংশ নিয়ে প্রকাশক সমিতিটির ইন্দোনেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
মালয়েশিয়াও মেলা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। মালয়েশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, 'আয়োজকদের ইসরায়েলপন্থী অবস্থানের কারণে' তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ বুক অথরিটি এবং এমিরেটস পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনও মেলা বর্জন করেছে। আমিরাতের একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, মিশরের আরব পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন মেলা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে।
এসব বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, মেলার পরিচালক ইয়ার্গুন বোস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অংশগ্রহণকারীদের এ সিদ্ধান্তে তারা 'খুবই হতাশ' হয়েছেন। কারণ, ভূরাজনৈতিক কারণে তারা এটা করছেন।
তিনি বলেন, 'এটা আমাদের সবার জন্য, ব্যক্তিগত আমার জন্য একটি বিপর্যয়। আমি চাই সবাই এখানে অংশ নিক, মুক্ত আলোচনায় যুক্ত হোক, এসব আলোচনা যদি বিতর্কিতও হয়, তবু সবার অংশ নেওয়া উচিত।'