‘গাজার হাসপাতালগুলো সামরিক কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের কোনো প্রমাণ নেই’: নরওয়ের চিকিৎসক
গত কয়েক বছর ধরে গাজার বিভিন্ন হাসাপাতালে কাজ করা নরওয়ের চিকিৎসক ম্যাডস গিলবার্ট বলেছেন, উপত্যকাটির হাসপাতালগুলো সশস্ত্রগোষ্ঠীদের দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
তিনি বলেন, 'আল-কুদস হাসপাতাল যখন তৈরি হয়েছিল তখন থেকেই আমি এটা চিনি। আল শিফা হাসপাতালে আন্তর্জাতিক নজরদারি ব্যবস্থায় নতুন একটি মেডিকেল ব্লক তৈরি করা হয়েছে। এসব হাসপাতালে এত বছর কাজ করেছি, আমি কখনো কোনো সামরিক বা রাজনৈতিক কমান্ড সেন্টারের চিহ্ন দেখিনি।
'আর ইসরায়েলিরা যদি… কোনো তথ্যপ্রমাণ না দিতে পারে, তাহলে আমার এগুলোকে মিথ্যা ছাড়া আর কী বলব। হাসপাতালে বোমা ফেলার অজুহাত ছাড়া আর কী বলতে পারি।'
২২ লাখ মানুষের মঙ্গল ও স্বাস্থ্যের ভিত এ হাসপাতালগুলো,' তিনি আরও বলেন।
এদিকে আল জাজিরা'র প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইসরায়েল আল-কুদস হাসপাতালের কাছাকাছি তাল আল-হাওয়া এলাকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে হাসাপাতালটির প্রশাসনকে হাসপাতাল খালি করতে নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তখন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বোমা ফেলারও হুমকি দেয় এটি।
আল জাজিরা অ্যারাবিক-এর প্রতিনিধি ওয়ায়েল দাদু আরও জানান, সর্বশেষ বিমান হামলায় হাসপাতালের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ হাসপাতালে অভ্যন্তরীণভাবে স্থানচ্যুত ১৪ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।