শিশুহত্যা করে শান্তি প্রতিষ্ঠার চিন্তা কাণ্ডজ্ঞানহীনতা: ইউনিসেফ মুখপাত্র
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা- ইউনিসেফ এর মুখপাত্র জেমস এলডার বলেছেন, গাজাকে ধবংস এবং শিশুদের হত্যা করে এই অঞ্চলে শান্তিপ্রতিষ্ঠা করা যাবে না, আর এমন চিন্তাও চরম কাণ্ডজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় নাসের হাসপাতাল সফর করেন এলডার। এরপর কাতার-ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার সাথে আলাপ করেন তিনি।
সেখানকার পরিস্থিতিকে 'বিপর্যয়কর' হিসেবে বর্ণনা দিয়ে ইউনিসেফ মুখপাত্র পুরো হাসপাতাল একইসাথে একটি 'জরুরি বিভাগ' এবং 'যুদ্ধক্ষেত্রে' পরিণত হয়েছে বলে জানান।
তিনি বলেন, "আপনি যেদিকেই তাকান না কেন, জরুরি চিকিৎসা দরকার এমন কোনো না কোনো শিশুকে দেখতে পাবেন। আহত অনেক শিশুর হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়েছে। অথচ মাত্র ছয়-সাত সপ্তাহ আগেও ছোট ছোট এসব ছেলেমেয়ে তাঁদের বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করতো।"
এসময় হাসপাতালের কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করে এলডার বলেন, "তাঁরা হলেন একাধারে অসম সাহসী, অক্লান্ত স্বাস্থ্যকর্মী, সর্বক্ষণই তাঁরা কাজ করে চলেছেন। সাধ্যের সবটুকু উজার করে প্রতিটি শিশুকে চিকিৎসা ও সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, তবু চিকিৎসকদের কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, যা তাঁরা স্বাভাবিক অবস্থা থাকলে কখনোই নিতেন না।"
বিগত কয়েকদিনে গাজায় আসা ত্রাণকে ভালো সংবাদ বললেও, এটি যে যথেষ্ট নয় সেকথাও তিনি উল্লেখ করেন।
ইউনিসেফ এর মুখপাত্র জেমস এলডার বলেন, 'এই ত্রাণ তখনই যথেষ্ট হবে যদি স্বল্পস্থায়ী এসব লড়াই বন্ধ থাকার ঘটনা একটি যুদ্ধবিরতিতে অথবা স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় পৌঁছায়। গাজাকে ধবংস এবং শিশুদের হত্যা করে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার চিন্তা করা উচিত নয়, বরং এটি চরম কাণ্ডজ্ঞানহীনতা।'