ইউক্রেনে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩১
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের সবচেয়ে বড় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৬০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
এ হামলায় হতাহতের পাশাপাশি সারাদেশের বিভিন্ন শহরে অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডের দাবি, ইউক্রেনে আঘাত হানার আগে একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডের আকাশসীমায়ও প্রবেশ করে। যদিও এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ার চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে পোলিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হলে তিনি বলেন, ওয়ারশ তাদের আকাশসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রবেশের কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এমন সময়ে মস্কোর সঙ্গে 'যুদ্ধবিরতির কোনো আলোচনা' হওয়ার সুযোগ নেই। এই হামলাই প্রমাণ করে যে, কিয়েভের জন্য পশ্চিমা সমর্থনের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তায় ঝুলছে।
মিত্রদের প্রতি দীর্ঘমেয়াদী সাহায্য পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, "আজ, লক্ষ লক্ষ ইউক্রেনীয় বিস্ফোরণের বিকট শব্দে জেগে উঠেছে। আমি চাই ইউক্রেনের বিস্ফোরণের সেই শব্দ সারাবিশ্ব শুনুক।"
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানী কিয়েভে একটি গুদাম, আবাসিক ভবন এবং অন্য একটি জনবসতিহীন স্থাপনায় আঘাতের পর অন্তত ৯ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হন।
যদিও রাশিয়া বলছে, মস্কোর সামরিক বাহিনী কেবল ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় হামলা চলিয়েছে এবং বেসামরিক লোক মারা যাওয়ার জন্য ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই দায়ী।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানায়, তারা রাশিয়ার ছোঁড়া মোট ১৫৮টি এরিয়াল টার্গেটের মধ্যে ৮৭টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২৭টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেন, "এটি এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং এ হামলায় কমপক্ষে ১৮টি কৌশলগত বোমারু বিমান জড়িত।"
হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলেন, "রাশিয়া তার অস্ত্রাগারে যা কিছু আছে– তাই নিয়ে আক্রমণ করেছে... প্রায় ১১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছে।"