মাঝ আকাশে খসে পড়ল বিমানের জানালা; জরুরি অবতরণে প্রাণ বাঁচল যাত্রীদের
মাঝ আকাশে খসে পড়ল আলাস্কা এয়ালাইনসের বিমানের একটি জানালা ও বাইরের কিছু অংশ। এমতাবস্থায় নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
গতকাল (শুক্রবার) যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন রাজ্যে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানে এই ঘটনাটি ঘটে। এমতাবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা বিমানটি ৩৫ মিনিট পর আবার পোর্টল্যান্ডে ফিরে আসে।
বিমানটিতে মোট ১৭৭ জন যাত্রী ও ক্রু ছিল। সৌভাগ্যবশত তারা সকলেই নিরাপদে বিমানটি থেকে নামতে পেরেছেন।
এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানায়, সাময়িকভাবে ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ এর মোট ৬৫ টি বিমানই ভূমিতে রাখা হয়েছে। এগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আর বোয়িং কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে এখনো জানতে পারেনি। তারা এখনও তথ্য সংগ্রহের করছেন। অন্যদিকে ইউকে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বিবিসিকে জানায়, তারা পরিস্থিতি বেশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
বিমানে ডিয়েগো মুরিলো নামের এক যাত্রী ছিলেন; যিনি অন্টারিওতে যাচ্ছিলেন। তিনি জানান, বিমানটিতে 'ফ্রিজের মতো প্রশস্ত' ফাঁক তৈরি হয়েছিল। আর অক্সিজেন মাস্কগুলি উপরে থেকে নেমে যাওয়ার সাথে সাথে সত্যিই 'জোরে বিস্ফোরণ' শোনা যায়।
কেপিটিভিকে ডিয়েগো মুরিলো বলেন, "সারিতে একটি বাচ্চা ছিল যার শার্টটি বাতাসে উড়ে প্লেন থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তখন তার মা বাচ্চাটিকে ধরে রেখেছিলেন যাতে তিনি সাথে উড়ে না যান।"
এই বিষয়ে আলাস্কা এয়ারলাইন্সের সিইও বেন মিনিকুচি বলেন, "প্রতিটি বিমান সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরেই আবার চালু হবে।"
এক্ষেত্রে এয়ারলাইনসের সিইও বেন মিনিকুচি ঐ বিমানে থাকা ছয় ক্রু মেম্বারদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। কেননা ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা অনুসারে, এই দুর্ঘটনাটি ঘটার সময় বিমানটি প্রায় ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় ছিল।
সংবাদপত্রে পাঠানো ছবি থেকে দেখা যায়, বিমানটি থেকে দুর্ঘটনার সময় ফাঁকা জায়গা দিয়ে রাতের আকাশ দেখা যাচ্ছিল। সাথে নিরোধক উপাদান এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষও দেখা যাচ্ছিল।
সিইও বেন মিনিকুচি বলেন, "যারা এই ফ্লাইটে ছিলেন আমি তাদের অবস্থা বুঝতে পারছি। আপনারা যা অনুভব করেছেন তার জন্য আমি দুঃখিত। আমাদের পাইলট ও ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা যে ভূমিকা পালন করেছে আমি সেজন্য কৃতজ্ঞ।"