শেষ ছবিতে প্রথম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতলেন হায়াও মিয়াজাকি
প্রথমবারের মতো গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতেছেন জাপানের কিংবদন্তি অ্যানিমে নির্মাতা হায়াও মিয়াজাকি। 'দ্য বয় এন্ড দ্য হিরন' সিনেমার জন্য পুরস্কারটি পেয়েছেন ৮২ বছর বয়সী এই নির্মাতা। খবর বিবিসির।
অ্যানিমেটেড ফিল্ম ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জেতা এটিই প্রথম বিদেশি ভাষার সিনেমা। এক্ষেত্রে এটি পেছনে ফেলেছে ডিজনি প্রোডাকশনের 'উইশ' কিংবা 'এলিমেন্টাল' এর মতো বিখ্যাত সিনেমাকে।
'দ্য বয় এন্ড দ্য হিরন' সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে। এতে যুদ্ধে মাকে হারানো এক অল্পবয়স্ক ছেলে ও রহস্যময় হেরনকে (পাখি) কেন্দ্র করে গল্প আবর্তিত হয়।
সিনেমাটির গল্পের সাথে মিয়াজাকির জীবনের অতীত স্মৃতিরও মিল রয়েছে। সিনেমার ছেলেটির মতোই যুদ্ধের সময় এই নির্মাতার পরিবারকে গ্রামাঞ্চলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মিয়াজাকির সাথেও তার মায়ের বেশ গভীর মমত্ববোধ ছিল। এই নির্মাতার সিনেমাতেও শক্তিশালী নারী চরিত্রগুলিতে এর একটি বড় প্রভাব দেখা যায়।
গোল্ডেন গ্লোবকে ঐতিহ্যগতভাবে অস্কারের পূর্বসরী হিসেবে দেখা হয়। যদিও মিয়াজাকি ২০০১ সালেই 'স্পিরিটেড অ্যাওয়ে' সিনেমার জন্য অ্যানিমেটেড ফিচার ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছেন।
নিজের অবসর ভেঙে মিয়াজাকি 'দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন' তৈরি করেছেন। এক্ষেত্রে এটি নির্মাণে তিনি প্রায় সাত বছর ব্যয় করেন। এমনকি সিনেমাটির মূল চিত্রনাট্য তিনিই লিখেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সিনেমাটির নর্থ আমেরিকায় মুক্তি পায়। তখন এটি প্রথম অ্যানিমেশন সিনেমা হিসেবে সেখানকার বক্স অফিসের শীর্ষে জায়গা করে নেয়।
এদিকে 'দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন' গত বছরের জুন মাসে জাপানে প্রথম প্রিমিয়ার করা হয়। এরপরম এটি নানা দেশে ব্যবসাসফল হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী ১৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।
সিনেমাটি সম্পর্কে গতবছর প্রযোজক তোশিও সুজুকি বলেছিল, এটি এখন পর্যন্ত নির্মিত অন্যতম ব্যয়বহুল জাপানি সিনেমা। তিনি একইসাথে স্টুডিও জিবলির সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
পুরষ্কারটি সম্পর্কে গতকাল (সোমবার) তোশিও সুজুকি বলেন, "স্টুডিও জিবলির সিনেমার জন্য এটি প্রথম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার। এটি খুব বিশেষ এক অনুভূতি।"
তোশিও সুজুকি আরও বলেন, "চলতি বছরের শুরু থেকেই জাপান একের পর এক মর্মান্তিক ভূমিকম্প ও দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি আশা করি যে, পুরস্কার জেতার ইতিবাচক সংবাদটি সামান্য হলেও সকলের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে।"