বিয়ে আইন লঙ্ঘনে অভিযুক্ত হলেন ইমরান খান
কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে দেশটির একটি আদালত। এতে বলা হয়েছে, আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বুশরা বিবি ইদ্দত (তালাকের পর তিন মাস পর্যন্ত অন্য কাউকে বিয়ে না করা) পালন না করেই ইমরানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, যা মুসলিম রীতি তথা ইসলামী শরীয়াহ পরিপন্থী।
অবশ্য ইমরান ও বুশরা উভয়ই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইমরানের আইনজীবী ইন্তিসার পাঞ্জুথা এটিকে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন থেকে ইমরানকে দূরে সরিয়ে রাখার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
গত বছরের এপ্রিলে মুহম্মদ হানিফ নামে এক ব্যক্তি ইমরান ও বুশরার বিয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে পিটিশন দেন। পরে ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মাদ আজম খান মামলাটি দেওয়ানি আদালতের বিচারকের কাছে স্থানান্তর করেন। সেই সঙ্গে এই বিয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা একটি নালিশি মামলা অগ্রহণযোগ্য বলে দেওয়া দেওয়ানি আদালতের এক রায় খারিজ করে দেন।
পিটিশনে মুহম্মদ হানিফ দাবি করেন, বুশরার সঙ্গে তাঁর আগের স্বামী মানেকার বিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। কিন্তু ইদ্দত পালন না করেই ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি বুশরা ইমরান খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, যা মুসলিম রীতি তথা ইসলামী শরিয়ার পরিপন্থী।
তবে বুশরা বিবি জানান, আগের স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছিল ২০১৭ সালের আগস্টে।
ইমরান খান এর আগে আরো দুটি বিয়ে করেছিলেন। তার সেই দুই স্ত্রী ছিলেন জেমাইমা গোল্ডস্মিথ ও রেহাম খান। কিন্তু তাদের সাথে ইমরানের সংসার বেশিদিন টেকেনি।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বিচারক ইমরানকে অভিযোগ পড়ে শোনান। তখন ইমরান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এ সময় বুশরা বিবি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
আইনজীবী পাঞ্জুথা বলেন, 'সবাই জানে তাকে (ইমরানকে) নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই জাল মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং কারাগারে রাখা হয়েছে। তবে পাকিস্তানের লোকেরা তাকে ত্যাগ করছে বলে মনে হচ্ছে না।'
২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। বর্তমানে তিনি একটি দুর্নীতির মামলায় কারাগারে রয়েছেন।