সরকারে যোগ দিতে অনিচ্ছুক পাকিস্তান পিপলস পার্টি আবার বৈঠকে বসেছে
নির্বাচন পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ইসলামাবাদে বৈঠক করেছে। সেখানে জোট সরকার সংক্রান্ত প্রস্তাব ও ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীসহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার রাতে নির্বাহী কমিটির সাথে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে সিনেটর শেরি রেহমান বলেন, "পিপিপি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে।"
আজ (মঙ্গলবার) কমিটিটি গঠন করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় নির্বাহী কমিটির বৈঠক আজ বিকেল ৩টায় আবার শুরু হবে।
পিপিপি নেত্রী শাজিয়া মারি বলেছেন, নির্বাহী কমিটি নির্বাচন পরিচালনায় কথিত অনিয়ম নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছে। আর আরেক নেতা ফয়সাল করিম কুন্দি সাংবাদিকদের বলেন, সব প্রদেশের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য জোট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং আজ আবারও এই বিষয়ে আলোচনা হবে।
ডনের সাথে কথা বলার সময় পিপিপির এক নেতা বলেন, সিইসির বৈঠকটি কেবল একটি এজেন্ডাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছিল। সেটি হচ্ছে, কেন্দ্রে আমরা আসন্ন সরকারের অংশ হবো কি-না।
ঐ নেতা বলেন, "সেক্ষেত্রে অধিকাংশ সদস্যের মতামত ছিল যে, অর্থনীতিসহ একাধিক চ্যালেঞ্জের কারণে আমাদের সরকার গঠন করা উচিত নয়। তারা চেয়েছিল, দলটি সিন্ধু প্রদেশে গুরুত্ব দিতে যেখানে সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।"
পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্রদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে পিপিপি নেতা বলেন, "দলটি সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের জড়িত করতে চায়। তবে প্রথমে তাদের মনস্থির দরকার।"
এদিকে পিএমএল ও পিপিপি লাহোরে কেন্দ্রে সরকার গঠনের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৈঠক করেছে।
ঐ বৈঠকে পিএমএল প্রধানমন্ত্রীর পদ নেওয়ার বিপরীতে প্রেসিডেন্ট, সিনেট চেয়ারম্যান এবং জাতীয় পরিষদের স্পিকারের পদ অফার করেছিল। এক্ষেত্রে পিপিপি পিএমএল-কে বলেছিল যে, তাদের নির্বাহী কমিটি এই প্রস্তাবের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবেন এবং উত্তর দেবেন।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান