সুইস গ্রাম্য রেঁস্তোরায় দুই বার্গার, ফ্রাই ও সোডার জন্য ১০০ ডলার গুনতে হলো দম্পতিকে!
সুইজারল্যান্ডের একটি গ্রামের রেঁস্তোরায় দুটি বার্গার, ফ্রাই এবং একটি সোডার জন্য অস্ট্রেলীয় এক দম্পতিকে ১০০ ডলার (৮,৩২৯ টাকা) দাম দিতে হয়েছে।
ইউরোপের এই দেশটির গ্রামেও খাবারের এত চড়া দামের কথা জানতে পেরে পর্যটক দম্পতি হতবাক হয়ে যান।
মারিয়া অ্যান্টোনিও এবং তার সঙ্গী অ্যান্টনি নিউজডটকমডটএইউ-এর কাছে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
সুইজারল্যান্ডের বার্নিজ আল্পসের গ্রিন্ডেলওয়াল্ড গ্রামে উঠেছিলেন তারা।
মিস মারিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম হয়তো হিসাবে কোনো ভুল হয়েছে।'
এই দম্পতি অবশ্য স্বীকার করেছেন, সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার আগে খোঁজ-খবর নিয়ে তারা সেখানকার ব্যয়বহুলতা সম্পর্কে আগেই জেনেছিলেন।
ওই নারী বলেন, তারপরও নিজেদের যখন জিনিসের এত চড়া দাম পরিশোধ করতে হয়েছে, আমরা রীতিমতো অবাক হয়েছি।
নিউজডটকমডটএইউ-এর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি আরও জানান, তারা সুইজারল্যান্ডে খুব বেশি কেনাকাটা করেননি। তবে এটুকু বলতে পারেন সেখানে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বেশি।
তিনি বলেন, 'আমরা সুইজারল্যান্ডে কোনো কেনাকাটা করিনি, তাই আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে সব খাবারের দাম অনেক বেশি ছিল।'
তিনি বলেন, 'আমি যদি অস্ট্রেলিয়ায় থাকতাম এবং আমাকে বলা হতো দুটি বার্গারের দাম ১৫০ অস্ট্রেলীয় ডলার (৯৮.৪৭ মার্কিন ডলার), তাহলে আমি সেখান থেকে অবশ্যই বেরিয়ে যেতাম।'
মিস মারিয়া জানান, শুধু তাদের একার রেঁস্তোরায়ই খাবারের এমন চড়া দাম ছিল তা নয়, আশেপাশের অন্যান্য রেঁস্তোরার চিত্রও একই।
তিনি বলেন, 'আমরা দেখেছি স্ট্রিট ফুডের দামও একই রকম।'
চার মাস ভ্রমণ করে পার করা এই দম্পতি বলেন, সুইজারল্যান্ডের গ্রিন্ডেলওয়াল্ড অবশ্যই তাদের ভ্রমণ করা সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্থান, এরপরেই আছে গ্রিসের সান্তোরিনি।
তবে তারা স্বীকার করেছেন, খাবারের দাম বেশি হলেও অবশ্যই মানুষের ভ্রমণ তালিকায় সুইজারল্যান্ড থাকা উচিত।
মিস মারিয়া বলেন, 'আমাদের দেখা সবচেয়ে সুন্দর দেশগুলোর একটি সুইজারল্যান্ড। কোনো ছবি বা ভিডিও কখনোই সুইজারল্যান্ডের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না। আমি ও আমার সঙ্গী আবার সেখানে যাওয়ার অপেক্ষায় আছি।'
মারিয়া যখন তার টিকটক অ্যাকাউন্টে তার এই অভিজ্ঞতার কথা পোস্ট করেন, তখন সুইজারল্যান্ডে খাবারের চড়া দাম দেখে অস্ট্রেলিয়ার অন্য নাগরিকরা অবাক হয়ে যান।
ওই পোস্টের কমেন্টে আরও অনেকে সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণে গিয়ে খাবারের চড়া দাম নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন।
দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ম্যাকডোনাল্ডসে খেয়েছেন এমন একজন লিখেছেন, 'জুরিখে বিগ ম্যাক মিলের দাম আমার দেশের ৩৫ ডলার।'
আরেকজন লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের গিফট শপ থেকে এক কাপ নুডলসের জন্য ১৫ ডলার দিয়েছিলাম।'
ভাবানুবাদ: তাবাসসুম সুইটি