ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযান প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সফল: আইআরজিসি প্রধান
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৩৫০-র বেশি ড্রোন ও মিসাইল ছুড়েছে ইরান। শনিবার রাতে এই হামলা চালানো হয়। এসব ড্রোন ও মিসাইলের অধিকাংশই ঠেকানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। কিন্তু ইরানের দাবি প্রত্যাশার থেকেও বেশি সফল হয়েছে তাদের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বাহিনী।
সামরিক অভিযান সম্পর্কে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এক বিবৃতিতে বলেন, 'সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলি বিমান হামলার জবাবে আইআরজিসি সফলভাবে ইসরায়েলে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে'।
অন্যদিকে, ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানান, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আঘাত করেছে এবং একটি সামরিক ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সালামি ইসরায়েলকে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'যেকোনও প্রতিশোধের জবাব দেয়া হবে ইরানের পক্ষ থেকে। ইরান তার নিজের মাটি থেকে বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে তার স্বার্থ, সম্পদ বা নাগরিকদের ওপর যে কোনও আক্রমণের জবাব দেবে।'
তিনি আরও বলেন, 'ইহুদিবাদী কর্মকর্তা এবং ইহুদিবাদী সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী ও দখলদার সেনাবাহিনী এই মুহূর্তে এসব হামলার ভয়াবহতা আঁচ করতে পারছে।'
এছাড়া সালামি দাবি করেন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স; ইরাক, জর্ডান এবং এমনকি সিরিয়ার কিছু অংশে ইসরায়েলকে বিমান সুরক্ষা দিলেও 'দশটি' ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা স্তর ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে।
সালামির ভাষ্যে, 'আমরা আরও বড় ধরনের হামলা চালাতে পারতাম, কিন্তু ইহুদিবাদী সরকার ইরানি দূতাবাসে হামলা চালাতে এবং আমাদের প্রিয় কমান্ডারদের শহীদ করতে যে বর্বরতা চালিয়েছিল আমরা তা করিনি, সীমাবদ্ধ রেখেছি।'
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে সন্দেহজনক ইসরায়েলি বোমা হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত কর্মকর্তা নিহত হন। তাদের মধ্যে দুজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারও ছিলেন। ইসরায়েল ওই হামলার দায় স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি। এ ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন