বাগদাদে ইরাকি টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা
দুর্বৃত্তদের গুলিতে মারা গেছেন ইরাকি সোশ্যাল মিডিয়া ও টিকটক তারকা গুফরান সাওয়াদি ওরফে ওম ফাহাদ।
বাগদাদ পুলিশের একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের পূর্বাঞ্চলীয় জায়ুনা এলাকায় নিজের বাড়ির বাইরে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে এসে গাড়িতে থাকা সাওয়াদিকে গুলি করে হত্যা করে। বাগদাদ পুলিশের একটি সূত্র সিএনএনকে ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অজ্ঞাত হামলাকারীদের হাতে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাওয়াদি টিকটকে জনপ্রিয় ছিলেন, যেখানে তিনি কিছুটা আঁটসাঁট পোশাকে বিভিন্ন পপ সংগীতে নিজের নাচের ভিডিও শেয়ার করতেন। অতীতে, এই ভিডিওগুলো ইরাকের বিচার বিভাগ দ্বারা অনুপযুক্ত বলে ঘোষনা করা হয় এবং তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ নিয়ে ইরাকি বিচার বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'জনসাধারণের শালীনতা ও নৈতিকতা লঙ্ঘন করে অশ্লীল ও অশালীন ভাষা সম্বলিত বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র এবং ভিডিও তৈরি ও প্রকাশের অপরাধে সাওয়াদিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।'
এর আগেও ইরাকের অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা প্রাণঘাতী হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নূর বিএম নামে পরিচিত আরেক জনপ্রিয় ইরাকি টিকটক তারকা নূর আলসাফফারকে বাগদাদে গুলি করে হত্যা করা হয়, ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র সে সময় সিএনএনকে জানিয়েছিল।
ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটক জুড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখেও বেশি অনুসারী থাকা আলসাফার ফ্যাশন, চুল এবং মেকআপ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ভিডিও পোস্ট করতেন এবং বিভিন্ন গানের সাথে নাচতেন।
তার হত্যার খবর প্রকাশের পর অনেকে আলসাফারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মন্তব্য করেছে, আবার অনেকে এই হত্যাকাণ্ডের সমর্থনে হত্যাকারীর প্রশংসাও করেছে।
ইরাক যখন এলজিবিটিকিউ মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে এর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন ও এটিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ঠিক ওই সময়ই আলসাফারের এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন