বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চ্যাংপেং ঝাও: বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কয়েদি
অর্থপাচার সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ লঙ্ঘনের ঘটনায় বর্তমানে কারাভোগ করছেন ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানি বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী (সিইও) চ্যাংপেং ঝাও। এ সাজার মধ্য দিয়ে অবশ্য আরেকটি পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। বলা হচ্ছে, কারাগারে থাকা সবচেয়ে সম্পদশালী ব্যক্তি এখন ঝাও।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটেল শহরের ডিস্ট্রিক্ট জজ রিচার্ড জোনস তাকে চার মাসের কারাদণ্ড দেন।
ব্লুমবার্গের তথ্যমতে, ঝাওয়ের সম্পদের পরিমাণ ৪৩ বিলিয়ন ডলার।
জিকিউ ম্যাগাজিন এক প্রতিবেদনে বলেছে, বলতে গেলে এখন যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে থাকা সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ঝাও। হতে পারে পুরো বিশ্বের মধ্যে কারাগারে থাকা সম্পদশালী ব্যক্তিও তিনি।
ঝাওয়ের জন্ম চীনে। ১৯৮৯ সালে ১২ বছর বয়সে তিনি কানাডায় চলে যান। কানাডার কুইবেক প্রদেশের মন্ট্রিলে অবস্থিত ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন চীনা বংশোদ্ভূত কানাডীয় এই উদ্যোক্তা।
২০১৭ সালে তিনি বাইন্যান্স চালু করেন। প্রতিষ্ঠানটি গত কয়েক বছর ধরে একাধিক মামলার মুখোমুখি হয়েছে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে অর্থ পাচার ও লাইসেন্সবিহীন অর্থ প্রেরণের অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটি।
ঝাওয়ের এক সময়কার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত আরেক ধনকুবের স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রাইড। তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ এফটিএক্সের প্রতিষ্ঠাতা।
এফটিএক্সের গ্রাহকদের কাছ থেকে ৮০০ কোটি ডলার হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় স্যামকে গত মার্চে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ফোর্বস অস্ট্রেলিয়ার তথ্যমতে, স্যামের সম্পদের পরিমাণ ২৪ বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবেরদের তালিকায় তার অবস্থান ৪১তম।
কারাগারে থাকা অন্যান্য ধনকুবেরদের মধ্যে রয়েছেন স্ট্যানফোর্ড ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ অব কোম্পানির (বর্তমানে বন্ধ) চেয়ারম্যান অ্যালেন স্ট্যানফোর্ড।
২০১২ সালে অ্যান্টিগুয়া স্ট্যানফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে ৭০০ কোটি ডলারের জাল আমানতের সার্টিফিকেট বিক্রির দায়ে তাকে ১১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিক কোনো সদরদপ্তর ছাড়াই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বাইন্যান্স। বিশ্বব্যাপী কয়েক হাজার কর্মী প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত রয়েছে।
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক