প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টার ছিল ইরানি বিপ্লবের আগের বেল ২১২, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি
পার্বত্য অঞ্চলে, বৈরী আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান নিহত হয়েছেন বলে ইরানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে।
ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে রয়টার্সকে বলেছেন, 'প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ হেলিকপ্টারের সব আরোহী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।'
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইব্রাহিম রাইসি ও আব্দোল্লাহিয়ানকে নিয়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি বেল-২১২ মডেলের ছিল। ইরানে ইসলামি বিপ্লব হওয়ার বেশ আগেই এটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা হয়েছিল।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা-এর বরাত নিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। মাঝারি আকারের হেলিকপ্টারটি পাইলটসহ মোট ১৫ জন বসতে পারতেন।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির খবরেও বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোনো মডেলের ছিল। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের কাছে এমন কোনো হেলিকপ্টার বিক্রি করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে সামরিক বিশ্লেষক সেড্রিক লেইটনের বরাত দিয়ে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারটি ছিল ষাটের দশকের।
লেইটন জানিয়েছেন, বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টার ১৯৭৬ সালে ইরানে শাহ বংশের শাসন আমলের শেষের দিকে ব্যবহৃত হওয়া শুরু হয়। কিন্তু মার্কিন সামরিক বাহিনী এটিকে ১৯৬০ এর দশকের শেষ থেকেই ব্যবহার করে আসছিল।
হেলিকপ্টারটির খুচরা যন্ত্রাংশে ত্রুটি থাকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করছেন সামরিক বিশ্লেষক লেইটন। তাছাড়া বৈরী আবহাওয়াকেও তিনি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সোমবার (২০ মে) উদ্ধারকারীরা রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পেয়েছেন।