অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ; গ্রেফতার ১৬
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। এতে একটি অফিস ভবনে বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পরলে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন গ্রুপটি ওয়েলিংটন স্কয়ারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অফিসের সামনে অবস্থান করছিল। মূলত তাদের দাবি ছিল ইসরায়েল-গাজা সংঘাত সম্পর্কিত নীতি নিয়ে আলোচনা করা।
এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবস্থানকারীদের ওপর 'হুমকি প্রদান ও সহিংস কর্মকাণ্ডের' অভিযোগ তোলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ জনকে উত্তেজিতভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা বিবিসি রেডিও অক্সফোর্ডের রিপোর্টার ফিল মার্সার-কেলি বলেছেন, "শত শত মানুষ ভবনের বাইরে ছিল। পুলিশ তাদেরকে ভেতরে প্রবেশে বাধা দিচ্ছিল।"
রিপোর্টার মার্সার-কেলি জানান, একটি 'বড়সড় আন্দোলন' হয়েছে। কারণ বিক্ষোভকারীদের লিটল ক্ল্যারেন্ডন স্ট্রিটে পুলিশি ভ্যানগুলিকে ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছিল।
বিক্ষোভকারীরা ভবনের অভ্যন্তরে একটি প্রাইভেট অফিসে প্রবেশ করেছিল। তখন তারা নিজেদের দাবির তালিকার সাথে জানালার বাইরে একটি ফিলিস্তিনি পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছিল।
বিবৃতিতে টেমস ভ্যালি পুলিশ বলে, "প্রতিবাদকারীদের পক্ষ থেকে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের অপসারণে বাধা দিতে চেয়েছিল। অন্যদিকে পুলিশ এখনও শহরজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ তদারকি করছে।"
এদিকে অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন গ্রুপের একজন মুখপাত্র বলেন, "প্রশাসনের দুই সপ্তাহের নীরবতার পর আজ অক্সফোর্ডের শিক্ষার্থীরা আলোচনার দাবিতে একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।"
ঐ মুখপাত্র আরও বলেন, "প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সাথে কথোপকথনের পরিবর্তে ভাইস চ্যান্সেলর বিল্ডিংটি খালি করা, লকডাউন জারি রাখা ও পুলিশকে গ্রেপ্তারের জন্য ডেকে আনাকে বেছে নিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে আলোচনার জন্য সাক্ষাতের দাবি করছি।"
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভবনটির সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় স্টাফদের মধ্যে 'ব্যাপক উদ্বেগের' সৃষ্টি হয়েছিল। বিবৃতিতে প্রশাসনের অভিযোগ, "সংগঠনটির দাবির বিপরীতে এটি 'শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি' ছিল না। বরং উত্তেজনা বাড়াতে এটি একটি পরিকল্পিত সহিংস পদক্ষেপ।"
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
যদিও ইসরায়েল গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। একইসাথে ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিজেদের হামলাকে অভিহিত করছেন।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান