দক্ষিণ কোরিয়ায় আরেক দফা আবর্জনাভর্তি বেলুনের বহর পাঠাল উত্তর কোরিয়া
দক্ষিণের প্রতিবেশীর সীমান্তের ভেতরে আরেক দফা আবর্জনা-ভর্তি কয়েকশো বেলুন পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার অধিকারকর্মীদের ইউএসবি স্টিকে কে-পপ ও কে-ড্রামা বহনকারী বেলুন পাঠানোর জবাবে ফের এসব ময়লাভর্তি বেলুন পাঠাল উত্তর কোরিয়ায়।
সিউলের জয়েন্ট চিফস অভ স্টাফ (জেসিএস) রোববার (৯ জুন) জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে আবর্জনার ব্যাগভর্তি প্রায় ৩৩০টি বেলুন পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যে ৮০টি বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে এসে পড়েছে।
জেসিএস বলে, বেলুনে থাকা ওই সব ব্যাগে ময়লা ও বাতিল কাগজ এবং প্লাস্টিক পাওয়া গেছে। তবে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে, এমন কিছু পাওয়া যায়নি।
সিএনএনের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৮ মে থেকে এ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সীমানায় ১ হাজার ৬০টির মতো বেলুন পাঠিয়েছে উত্তর।
রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল সর্বশেষ এই বেলুনের স্রোত সামলাতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠক করেছে।
গত সপ্তাহে প্রতিবেশী দেশে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি বেলুনে করে ১৫ টন ময়লা পাঠানোর দাবি করে পিয়ংইয়ং।
রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে লাউডস্পিকার বাজিয়ে উত্তর কোরিয়ার বেলুন পাঠানোর জবাব দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী।
১৯৫০-এর দশকের কোরিয়া যুদ্ধের পর থেকেই দুই কোরিয়া পাল্টাপাল্টি প্রোপ্যাগান্ডামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে একে অপরকে বেলুন পাঠিয়ে আসছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীও একসময় উত্তর কোরিয়ায় প্রোপ্যাগান্ডামূলক লিফলেট পাঠানোকে সমর্থন করত। তবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে উত্তর কোরিয়াবিরোধী প্রোপ্যাগান্ডামূলক লিফলেট পাঠানোকে অপরাধ ঘোষণা করে একটি আইন পাশ করে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট।
এছাড়া ২০১৮ সালে দুই প্রতিবেশীর এক সম্মেলনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীও এরকম বেলুন পাঠানোর ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেয়।
এদিকে জেসিএস বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য উত্তর কোরিয়াই 'সম্পূর্ণ দায়ী'। উত্তরকে 'আবর্জনাভর্তি বেলুন পাঠানোর মতো হীন কাজ অবিলম্ব বন্ধ' করার আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
১৯৫০-এর দশক থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার অধিকারকর্মীরা বেলুনে করে খাদ্য, ওষুধ, রেডিও, প্রোপ্যাগান্ডামূলক লিফলেটসহ বিভিন্ন জিনিস পাঠিয়ে আসছেন উত্তর কোরিয়ায়। জবাবে উত্তর কোরিয়াও বিভিন্ন সময় ময়লাভর্তি বেলুন পাঠিয়েছে।