ফ্রান্সে আগাম নির্বাচন: ‘চরম’ কর্মসূচি ‘গৃহযুদ্ধের দিকে’ নিয়ে যাবে, দাবি ম্যাখোঁর
ফ্রান্সের আগাম আইনসভা নির্বাচনের প্রচারণার শেষ সপ্তাহে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ জনসম্মুখে তার উপস্থিতি বাড়িয়েছেন।
গতকাল সোমবার (২৪ জুন) ফরাসী এই নেতা বলেছেন, 'চরম' কর্মসূচিগুলো 'গৃহযুদ্ধের দিকে' নিয়ে যেতে পারে।
অতি ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালির (আরএন) নেতা জদান বাদিরা তার নির্বাচনী প্রস্তাবনার বিষয়ে বিশদ পরিকল্পনা প্রকাশের একদিন আগে এ কথা বললেন ম্যাখোঁ।
ম্যাখোঁর এ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন তার প্রতিপক্ষরা।
ফরাসী সম্প্রচারমাধ্যম এম৬-এ প্রচারিত খবরে ২৮ বছর বয়সী জদান বাদিরা বলেছেন, 'একজন প্রেসিডেন্টের কখনোই এটি বলা উচিত নয়। আমি ফরাসি জনগণের জন্য নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করতে চাই।'
এদিকে নির্বাচনে বিজয়ী হলে বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট জোট কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে, তা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। ফ্রান্স আনবাউড (এলএফআই) দলের নেতা জ্যঁ-লক মেলেশোঁ গত শনিবার দেশের শাসনকার্য পরিচালনার বিষয়ে তার অভিপ্রায় জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনে খারাপ ফলের জেরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন ম্যাখোঁ। একইসঙ্গে দেশটিতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণাও দেন।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইইউ নির্বাচনে অতি-ডানপন্থীর কাছে নিজের মধ্যপন্থী জোট পরাজিত হওয়ার পর ম্যাখোঁ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি আগাম আইনসভা নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেছেন।
হঠাৎ এ ধরনের সংসদীয় নির্বাচনকে স্ন্যাপ লেজিসলেটিভ ইলেকশন বলা হয়।
আগামী ৩০ জুন ফ্রান্সে প্রথম দফায় সংসদের নিম্নকক্ষের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে আগামী ৭ জুলাই।
ইইউয়ের ওই নির্বাচনে ন্যাশনাল র্যালি ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। ২৭ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে নিউ পপুলার ফ্রন্ট। আর ম্যাখোঁর দল পেয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ ভোট।
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক