আবারও তালগোল পাকালেন বাইডেন; ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে 'পুতিন' বলে ডাকলেন আর কমলাকে 'ট্রাম্প'!
'বুড়ো' বাইডেনকে নিয়ে ঝামেলার অন্ত নেই। বিতর্কে বক্তব্য বিভ্রাটের পর আবারও কথায় তালগোল পাকিয়ে বসলেন। ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে 'পুতিন' বলে ডাকলেন। আবার কমলা হ্যারিসের কথা বলতে গিয়ে নিজের ভাইস প্রেসিডেন্টকে সম্বোধন করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে।
ওয়াশিংটনে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে জেলেনস্কির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ন্যাটো নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে বাইডেন এই ভুল করেন। নিজের ভাষণ শেষে তিনি জেলেনস্কিকে বক্তব্য রাখার জন্যে আহ্বান জানাচ্ছিলেন। সেই সময় বাইডেন বলে বসেন, 'আর এখন আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে কথা বলার জন্যে অনুরোধ করব... লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলমেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন।'
এতে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন জেলেনস্কিকেও। ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে তা সংশোধন করে নেন বাইডেন। বলেন, 'প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, আমরা প্রেসিডেন্ট পুতিনকে পরাজিত করব অবশ্যই'।
পরিস্থিতি সামলাতে সাহায্য করেন জেলেনস্কিও। সাবেক এই কৌতুক অভিনেতা সঙ্গে সঙ্গেই বলে ওঠেন, 'আমি পুতিনের চেয়ে ভালো।'
ভুলবসত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে প্রেসিডেন্ট পুতিন হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বাইডেন ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে তার মানসিক তীক্ষ্ণতা সম্পর্কে উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
রাজনৈতিক মিত্র এবং অর্থদাতারা যখন তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছে, তখনই আবার এই বিতর্কের জন্ম দিলেন তিনি।
ন্যাটো সামিটে তিনি কমলা হ্যারিসকে ভুল করে ট্রাম্প বলেও ডাকেন। কথায় কথায় তিনি বলেন, 'আমি যদি মনে করতাম যে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন, তাহলে ট্রাম্পকে নিজের ভাইস প্রেসিডেন্টও বানাতাম না।' আদতে তিনি কমলা হ্যারিসের কথা এখানে বলতে গিয়ে তাকে ভুল করে 'ট্রাম্প' বলেছেন।
আবার, গত বৃহস্পতিবার ফিলাডেলফিয়ার ডব্লিউইউআরডি রেডিও স্টেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন নিজেকে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, আমিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী যিনি কিনা একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মূলত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে এ উদ্ভট মন্তব্য করেন তিনি।
তবে ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেওয়া কোনো দেশের নেতাই বাইডেনকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বা তার সক্ষমতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেননি।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'মুখ ফসকে কথায় ভুল হতেই পারে, এটা আমার সঙ্গেও হয়েছে'।
বাইডেনের ভুলের বিষয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রশ্নটি এড়িয়ে যান এবং বলেন যে তিনি আশা করেন যে বাইডেন ইউক্রেনকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।