রক্তাক্ত চেহারায় মঞ্চ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ ট্রাম্পের মুষ্টিবদ্ধ হাত: ‘ফাইট! ফাইট! ফাইট!’
পেন্সিলভানিয়ায় নির্বাচনি প্রচারণায় হামলার শিকার হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ট্রাম্পকে ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তাকর্মীরা। ট্রাম্পকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নেওয়ার সময় তিনি শূন্যে মুষ্টিবদ্ধ দুই হাত উঁচিয়ে বারবার বলতে থাকেন, 'ফাইট! ফাইট! ফাইট!'
এ ঘটনায় হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন।
৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প বক্তৃতা শুরু করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গুলি করা হয় তাকে লক্ষ্য করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি ডান কান আঁকড়ে ধরে মঞ্চেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন।
খানিকক্ষণ পর রক্তমাখা চেহারা নিয়ে উঠে দাঁড়ান ট্রাম্প। সেইসঙ্গে শূন্যে মুষ্টিবদ্ধ দুই হাত ছুড়তে থাকেন।
তৎক্ষণাৎ সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা দৌড়ে মঞ্চে চলে আসেন। ট্রাম্পকে নিরাপত্তা দিতে তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন তারা।
সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে কয়েক সেকেন্ড কথা বলার পর শূন্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়ে ট্রাম্প কয়েকবার 'ফাইট' বলে ওঠেন।
সেই মুহূর্তে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের শার্টের বোতাম আংশিক খোলা ছিল। সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে একটি এসইউভিতে উঠিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রক্তাক্ত চেহারার ট্রাম্পকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নেওয়ার ছবি পোস্ট করে ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প লিখেছেন: 'এই যোদ্ধাকেই আমেরিকার প্রয়োজন।'
এ ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, 'একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশকে ফুটো করে দিয়েছে।'
ট্রাম্পের প্রচারণাশিবির জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট 'ঠিক আছেন'।
হামলাকারীর পরিচয় তৎক্ষণাৎ প্রকাশ করা হয়নি। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট নেতারা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন: 'আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ এর নিন্দা জানাতে হবে আমাদের।'
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গুলির ঘটনার পর ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেন কথা বলেছেন।