ট্রাম্পের সমাবেশে গুলিবর্ষণকে ‘হত্যাচেষ্টা’ হিসেবে তদন্ত করছে এফবিআই
পেন্সিলভানিয়ায় নির্বাচনি প্রচারণায় হামলার শিকার হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পেনসিলভানিয়ার বাটলার-এ স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটিকে ট্রাম্পকে 'হত্যাচেষ্টা' হিসেবে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)।
আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে অস্থায়ীভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছেন, তবে এখনই সকল তথ্য প্রকাশ করবেন না তারা। আক্রমণকারী ঠিক কোন উদ্দেশ্যে বা রেশ ধরে হামলা চালিয়েছে তা এখনও শনাক্ত করতে পারেননি তারা।
৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প বক্তৃতা শুরু করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গুলি করা হয় তাকে লক্ষ্য করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি ডান কান আঁকড়ে ধরে মঞ্চেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন।
খানিকক্ষণ পর রক্তমাখা চেহারা নিয়ে উঠে দাঁড়ান ট্রাম্প। সেইসঙ্গে শূন্যে মুষ্টিবদ্ধ দুই হাত ছুড়তে থাকেন।
তৎক্ষণাৎ সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা দৌড়ে মঞ্চে চলে আসেন। ট্রাম্পকে নিরাপত্তা দিতে তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন তারা।
সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে কয়েক সেকেন্ড কথা বলার পর শূন্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়ে ট্রাম্প কয়েকবার 'ফাইট' বলে ওঠেন।
সেই মুহূর্তে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের শার্টের বোতাম আংশিক খোলা ছিল এবং তার 'মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' ক্যাপটিই ছিটকে পড়ে যায়। সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে একটি কালো এসইউভিতে উঠিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রক্তাক্ত চেহারার ট্রাম্পকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নেওয়ার ছবি পোস্ট করে ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প লিখেছেন: 'এই যোদ্ধাকেই আমেরিকার প্রয়োজন।'
এ ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, 'একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশকে ফুটো করে দিয়েছে।'
৫ নভেম্বরের নির্বাচনের চার মাসেরও কম সময় আগে এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে।