কেলেঙ্কারি প্রমাণ হওয়ায় পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা
সেপ্টেম্বরে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। গত তিন বছরে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। তাই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নতুন যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাকেও লড়তে হবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিজনিত সমস্যার সঙ্গে।
আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা বলেন, "জনগণের আস্থা ছাড়া রাজনীতি চলতে পারে না। আমি লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের (এলডিপি) হয়ে আর নির্বাচনে দাড়াবো না। আমি এখন থেকে এলডিপির নবনির্বাচিত নেতার সমর্থনে দলের সদস্য হয়ে কাজ করবো।"
কিশিদার জনপ্রিয়তা কমার বড় কারণ হলো এলডিপির সঙ্গে ইউনিফিকেশন চার্চের বিতর্কিত সম্পর্ক এবং রেকর্ডবিহীন রাজনৈতিক অনুদান রয়েছে। তবে মানুষ সবচেয়ে বেশি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে। কয়েক বছর ধরে চলা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রনে এলেও জনগণের বেতন ও জীবনযাত্রার মান বাড়েনি।
সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের্ রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক কোইচি নাকানো বলেন, "একজন এলডিপির প্রধানমন্ত্রী তখনই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য দাড়ান যখন তিনি নিশ্চি থাকেন যে তিনি জয়ী হবেন।" নাকানো একে সুমো কুস্তির গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন ইয়োকোজুনাসদের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি আরো বলেন, "এক্ষেত্রে শুধু বিজয়ী হলেই হবে না তাকে মর্যাদার সঙ্গে বিজয়ী হতে হবে "
এলপিডির নবনির্বাচিত প্রধানকে বিভক্ত শাসক গোষ্ঠিকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করতে হবে। এছাড়া ক্রমবর্ধমান ব্যয়, চীনের সঙ্গে চলমান ভূ-রাজনীতিগত উত্তেজনা এবং যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনও মোকাবেলা করতে হবে।