ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি ‘উচ্চ’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) ইরান প্রকল্প পরিচালক আলি ভায়েজ আল জাজিরাকে বলেছেন, ইরানি পরমাণু অবকাঠামোর ওপর ইসরায়েলি হামলার একটি "বাস্তব ঝুঁকি" রয়েছে।
ভায়েজ বলেন, "ইরানের প্রতিরক্ষা সঙ্গী হিজবুল্লাহ বর্তমানে দুর্বল অবস্থায় থাকায়, দেশটি ইসরায়েলি আক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "মার্কিন বাহিনী ইতোমধ্যেই এই অঞ্চলে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিচ্ছে। গত কয়েক দশকে ইরান থেকে আসা বড় হুমকি মোকাবিলার জন্য এটিই সম্ভবত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সুযোগ।"
তিনি আরও বলেন, "এছাড়া ইসরায়েল জানে, যেকোনো কূটনৈতিক সমাধান তাদের জন্য সন্তোষজনক হবে না। তাই আমি মনে করি, পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার বাস্তব ঝুঁকি রয়েছে।"
ভায়েজ উল্লেখ করেন, ইসরায়েল যদি ইরানি পরমাণু অবকাঠামো বা সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে, তাহলে ইসরায়েলি এ প্রতিক্রিয়া একটি বৃহত্তর যুদ্ধের সূচনা করতে পারে।
এদিকে, গতকাল ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ইসরায়েলে বড় এক ঝাঁক মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এরমধ্যে, ব্যালেস্টিক মিসাইলের সংখ্যাই শতাধিক হতে পারে।
ইরান বলছে, গাজা ও লেবাননে মারাত্মক হামলার পাশাপাশি হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) নেতাদের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারাও ইরানের এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।