সুইং স্টেটের ভোটারদের দিয়ে পিটিশন স্বাক্ষর করালেই ৪৭ ডলার দেবেন ইলন মাস্ক
টেসলার সিইও এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ভোটারদের জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রত্যেক নিবন্ধিত ভোটারকে তিনি ৪৭ ডলার দেবেন, যদি তারা 'ফার্স্ট এবং সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট'-এর সমর্থনে মার্কিন সুইং স্টেট বা রাজ্যের ভোটারদের একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করতে উৎসাহিত করতে পারেন।
মাস্কের আমেরিকা পিএসি থেকে নেওয়া এই উদ্যোগটি সুইং স্টেট বা রাজ্যগুলোতে এক মিলিয়ন স্বাক্ষর সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। রাজ্যগুলো হলো: পেনসিলভেনিয়া, জর্জিয়া, নেভাডা, অ্যারিজোনা, মিশিগান, উইসকনসিন এবং নর্থ ক্যারোলিনা। এতে অংশগ্রহণের শেষ তারিখ ২১ অক্টোবর।
মার্কিন সুইং স্টেট বা রাজ্যগুলোতে নির্বাচনকালীন ভোটের ফলাফলের পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন, কারণ এখানে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের ভোটারদের সংখ্যা প্রায় সমান। এই রাজ্যগুলো নির্বাচনী ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেহেতু এখানকার ভোটাররা কোন দলের পক্ষে ভোট দেবেন– তা আগে থেকেই নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না।
এই পিটিশনের লক্ষ্য বাক স্বাধীনতা ও অস্ত্র বহনের অধিকারকে সমর্থন করা। পিটিশনে লেখা হয়েছে, "নীচে স্বাক্ষর করে আমি ফার্স্ট এবং সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট-এর প্রতি আমার সমর্থন জানাচ্ছি।"
মাস্কের আমেরিকা পিএসি সাংবিধানিক অধিকার সমর্থনের জন্য কাজ করার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনা করছে। তিনি সম্প্রতি একটি ক্যালিফোর্নিয়া প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন, যেটি ভোটার আইডি সংক্রান্ত শর্তাবলী নিষিদ্ধ করার কথা বলে। মাস্ক এই শর্তাবলীকে অধিকারগুলোর জন্য একটি হুমকি বলে মনে করেন।
মার্কিন ফেডারেল আইন অনুযায়ী, ভোটার নিবন্ধন বা ফেডারেল নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য অর্থ দেওয়া নিষিদ্ধ। তবে পিটিশনে স্বাক্ষরের জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার অনুমতি রয়েছে।
পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে একটি সমাবেশে ইলন মাস্ক আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমেরিকার গণতন্ত্র রক্ষার একমাত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। 'মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন' ক্যাপ পরিহিত মাস্ক সমাবেশে বলেন, "যদি ট্রাম্প জিততে না পারেন তাহলে এটি হবে শেষ নির্বাচন।"
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি তিনি আবার প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে তিনি মাস্ককে একটি সরকারি দক্ষতা কমিশনে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
জুলাই মাসে পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে একটি সমাবেশে গুলির ঘটনা ঘটেছিল এবং সেখানেই সাম্প্রতিক সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। ফলে এটি সমাবেশের রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়িয়েছে।