প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের আগে ঘুষের মামলায় জেল ও জরিমানা থেকে রেহাই পেলেন ট্রাম্প
পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে 'নিঃশর্ত মুক্তি' দণ্ডাদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
এর অর্থ হলো, ট্রাম্প অপরাধী হিসেবেই থাকবেন। তবে ঘুষ দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য তাকে কোনো জেল, জরিমানা বা প্রবেশনের মুখোমুখি হতে হবে না।
আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। শপথ গ্রহণের আগেই তার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করলেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রথম ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি হিসেবে প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন।
সিএনএন জানিয়েছে, আদালতে শুনানির সময় ট্রাম্প কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। সাজা ঘোষণার শুনানিতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, 'আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি কোনো অন্যায় করিনি।'
মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি করেন ট্রাম্প।
সিএনএন আরও জানিয়েছে, এর আগে ঘুষের মামলায় সাজা স্থগিত রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদনও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের মেয়াদে মামলাটি চলতে থাকলে তা তার শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করবে।
যৌন সম্পর্কের বিষয় ধামাচাপা দিতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়া–সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলায় গত বছরের মে মাসে ম্যানহাটান আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলায় স্টর্মি ড্যানিয়েলস অভিযোগ করেন, ২০০৬ সালে নেভাডা অঙ্গরাজ্যে একটি হোটেলে ট্রাম্পের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক হয়। সে ঘটনা যাতে তিনি কাউকে না বলেন, সে জন্য ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এর ১০ বছর পর ২০১৬ সালে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেন ট্রাম্প। ঘুষ দেওয়ার তথ্য তিনি তার ব্যবসায়িক নথিতেও গোপন করেন। ট্রাম্প অবশ্য এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন।