'অবৈধ' বলে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ট্রাম্পের
![](https://tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/04/trump_and_trump.jpg)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 'যুক্তরাষ্ট্র ও এর ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে অবৈধ ও ভিত্তিহীন কর্মকাণ্ডের' অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। খবর বিবিসির।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মার্কিন নাগরিক বা মিত্রদের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তে সহায়তা করা ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের ওপর আর্থিক এবং ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরকালে এই আদেশে স্বাক্ষর করলেন ট্রাম্প।
গত নভেম্বরে আইসিসি গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, যা ইসরায়েল অস্বীকার করে। আইসিসি হামাস কমান্ডারের বিরুদ্ধেও পরোয়ানাও জারি করেছে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, হেগভিত্তিক আইসিসি একই সময়ে পরোয়ানা জারি করে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে 'লজ্জাজনক নৈতিক সমতা' তৈরি করেছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়, আইসিসি এর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড 'একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে', যা আমেরিকানদের 'হেনস্থা, অপব্যবহার এবং সম্ভাব্য গ্রেপ্তারির' ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
'এই ক্ষতিকর আচরণ আমেরিকার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করতে পারে এবং মার্কিন সরকারের এবং তার মিত্রদের, ইসরায়েলসহ, জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি কাজের জন্য ক্ষতিকর,' আদেশে উল্লেখ করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয় এবং আমেরিকান কর্মকর্তা বা নাগরিকদের ওপর সংস্থার কোনো ধরনের এখতিয়ার বারবার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস আইসিসিকে ইরান ও ইসরায়েলবিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের অভিযোগ এনেছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, 'আমেরিকা এবং ইসরায়েল উভয়ই উজ্জীবিত গণতন্ত্র, এবং তাদের সেনাবাহিনী যুদ্ধের আইন মেনে চলে।'
গত মাসে, যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস আইসিসি-কে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য একটি প্রস্তাব পাস করেছিল, তবে বিলটি সিনেটে আটকে যায়।
আইসিসি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যুগোস্লাভিয়ার ভাঙন এবং রুয়ান্ডার গণহত্যার পরবর্তী সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের জন্য। ১২০টিরও বেশি দেশ রোম স্ট্যাটুটের মাধ্যমে আইসিসি অনুমোদন করেছে, এবং ৩৪টি দেশ সই করেছে, যারা ভবিষ্যতে এটিকে অনুমোদন করতে পারে।
আমেরিকা এবং ইসরায়েল উভয়ই রোম স্ট্যাটুটের সদস্য নয়।
আইসিসি শুধুমাত্র তখন হস্তক্ষেপ করতে পারে যখন জাতীয় কর্তৃপক্ষ অপরাধীদের বিচার করার সক্ষমতা বা ইচ্ছা নেই।