৪ দিনের কর্ম সপ্তাহ চায় এই দেশ, কিন্তু তা চাকুরেদের খুশি করার জন্য নয়
আইসল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের মতো বিশ্বের কিছু উন্নত দেশে কর্মীদের কাজের উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়াতে সপ্তাহে কর্মদিবসের সংখ্যা চারে নামিয়ে আনা হয়েছে। চার কর্মদিবসের ট্রায়াল শুরু হয়েছে সেসব দেশের অফিসগুলোতে। ঠিক একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কাও। তবে কর্মীদের কাজের উদ্দীপনা বাড়াতে নয়, বরং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতেই সাপ্তাহিক কর্মদিবস কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম এতো বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা। খাদ্য ও জ্বলানি সংকটে ধুঁকছে দেশের সাধারণ জনগণ; চলেছে সরকার বিরোধী তীব্র আন্দোলনও। অর্থনৈতিক এ সংকট মোকাবেলায় মঙ্গলবার (১৪ জুন) শ্রীলঙ্কা সরকার আগামী তিন মাসের জন্য দেশটির সরকারি কর্মীদের শুক্রবারেও সাপ্তাহিক বন্ধ ঘোষণা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফসল উৎপাদনের সময় দিতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর এই বন্ধের জন্য তাদের বেতনও কাটা হবে না।
মঙ্গলবার সরকারি তথ্য বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, "সম্ভাব্য খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের একটি কর্মদিবস ছুটি দেওয়া উপযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে ... যেন তারা নিজেদের বাড়ির আঙিনায় বা অন্য কোনো জায়গায় কৃষিকাজে নিয়োজিত হতে পারেন।"
শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ সরকারি খাতে কাজ করছেন।
তবে সপ্তাহে চার কর্মদিবসের এই নিয়মটি হাসপাতাল, বন্দর, বিদ্যুৎ কিংবা পানি সরবরাহ খাতে কর্মরত জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া, চাকরি নিয়ে বিদেশে লোক পাঠাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গেও আলোচনা করছে শ্রীলঙ্কা সরকার। প্রবাসী কর্মীরা যেন বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করতে পারে সে উদ্দেশ্যেই এ আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
এমনকি বিদেশে চাকরির এ সুযোগ নিতে পারবে সরকারি কর্মীরাও। শ্রীলঙ্কা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মী বিদেশে চাকরির সিদ্ধান্ত নিলে তাকে ৫ বছর পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে তিনি সকারের কাছ থেকে নিয়মিত বেতন পাবেন না।
- সূত্র: সিএনএন