দেশব্যাপী চলছে বিশেষ টিকাদান ক্যাম্পেইন, ভ্যাকসিন পাবে ৭৫ লাখ মানুষ
আজ মঙ্গলবার প্রায় ৭৫ লাখ নাগরিককে কোভিডের বুস্টার এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিশেষ টিকাদান অভিযান শুরু করেছে সরকার।
সরকারি তথ্য অনুসারে, ৩৩,২৪৬ জন টিকাদান কর্মী এবং ৪৯,৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন এই ক্যাম্পেইনে। প্রায় ১৬,১৮১টি বুথে চলবে টিকাদান।
সারাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা জেনারেল হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আজ সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান চলবে।
এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, "এখন পর্যন্ত দেশের মোট ৭৬.০৫ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন, ৭০.৩ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এবং ১৭.৯ শতাংশ মানুষ বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।"
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ৫ প্রকারের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন অ্যান্ড জনসন) মোট প্রায় ২ কোটি ৭৮ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে।
"দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তুলনামূলক বুস্টার ডোজ কাভারেজ কম হয়েছে। সেই বিবেচনায় সরকার ১৯ জুলাই দেশব্যাপী একটি কোডিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে," বলেন তিনি।
আগামী আগস্ট মাসে ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের করোনার টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, দেশে ৫ থেকে ১২ বছরের দুই কোটি শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে এক কোটি শিশুকে প্রথমে টিকার আওতায় আনা হবে। জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে শিশুদের এই টিকা দেওয়া হবে।
এর আগে জুন মাসে দেশজুড়ে এক সপ্তাহব্যাপী বুস্টার ডোজ টিকাদান চলে।
এদিকে, সোমবার পর্যন্ত মোট দেশের ১২ কোটি ৯৫ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১১ কোটি ৯৮ লাখ।
১৮ জুলাই পর্যন্ত দেশের ৩ কোটি ৪৪ লাখ মানুষ বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।
সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বাংলাদেশে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১ হাজার ৭২ জনের।
সারা দেশে ১০ হাজার ৯৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করার পর একদিনে সংক্রমণের হার রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৭৭ শতাংশ।
২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ২৪১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৪১২ জন।