মোটরসাইকেলের আন্তজেলা চলাচল বন্ধের সুপারিশ টাস্কফোর্সের
দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে আন্তজেলা ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখার পক্ষে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদার করা ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্স।
বুধবার (২৭ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত টাস্কফোর্সের পঞ্চম সভা শেষে এই সুপারিশ জানানো হয়।
টাস্কফোর্সের সদস্য ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে যে সুপারিশ করা হয়েছে তা হচ্ছে দূরপাল্লায়, আন্তজেলায় (এক জেলা থেকে অন্য জেলা) রাইডশেয়ারিং করা যাবে না। বৈঠকে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
সড়কে ৪০ শতাংশ দুর্ঘটনা রাইডশেয়ারিংয়ের কারণে হয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনার সুপারিশ করেছি।
মোটরসাইকেলের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত কি স্থায়ীভাবে নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এখন পর্যন্ত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আছে।
উল্লেখ্য গত ঈদুল আযহার সময় মহাসড়ক ও আন্তজেলায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা হয়। এখনো এই সিদ্ধান্ত বহাল আছে।
শাজাহান খান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে গাড়ি চালকদের ডোপ টেস্ট করে লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলেছি। এই ডোপ টেস্টের অল্প কয়েকটি সেন্টার রয়েছে মাত্র। আমরা সেগুলো বাড়ানোর জন্য বলেছি। আর এখন ডোপ টেস্টের জন্য যে ৯০০ টাকা ফি ধরা আছে, তা কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে বৈঠকে।
তিনি আরও বলেন, বিআরটিএর জনবল সংকট রয়েছে এখন। আমরা দ্রুত লোক নিয়োগের কথা বলেছি। পাশাপাশি বর্তমানে মহাসড়কে যে আট হাজার পুলিশ রয়েছে তা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। রাজধানীতে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধিরও সুপারিশ করা হয়েছে ।
শাজাহান বলেন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা টোলের নামে সড়ক ও মহাসড়কেও টাকা নিচ্ছে। অথচ ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা আছে, সড়ক-মহাসড়ক থেকে চাঁদা আদায় করা যাবে না। শুধু টার্মিনাল থেকে টোল নেওয়া যাবে। এ জন্য পুনরায় পত্র দিয়ে অবিলম্বে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার নেওয়া এই চাঁদা আদায় বন্ধ করতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া অবৈধ ড্রাইভিং স্কুলগুলো বন্ধ করতেও বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে যাচাই করে যাদের অনুমোদন দেওয়া যায়, তা দেওয়া এবং শর্ত পূরণসাপেক্ষে আরও কিছু ড্রাইভিং স্কুল অনুমোদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে টাস্কফোর্স।
শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিষয়ে মালিক ও শ্রমিকনেতাদের বসে দ্রুত সমাধান করতে পরামর্শ দিয়েছে টাস্কফোর্স।