চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালো ভারতের পরীক্ষামূলক ট্রানজিট পণ্যের চালান
ট্রানজিট চুক্তির আওতায় ভারতের পরীক্ষামূলক পণ্যের চালান চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। ভারতীয় জাহাজ 'এমভি ট্রান্স সমুদেরা' কলকাতা শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে ২৫ টন রড সহ ১২০টি কনটেইনার নিয়ে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়।
কার্গো জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি (নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল) ১ জেটিতে ভিড়িয়ে খালাসের পর শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষে সড়ক পথে শ্যাওলা (সিলেট)স্থলবন্দরের পথে রওনা হবে। এরপর সুতারকান্দি (ভারত) স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারতের আসামে গিয়ে পৌঁছাবে।
এমভি ট্রান্স সামুদেরা জাহাজের শিপিং এজেন্ট ম্যাংগো লাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াকুব ভূঁইয়া সুজন জানান, চালানটি সিলেটের শ্যাওলা পর্যন্ত পরিবহনের জন্য ৮০ হাজার টাকায় একটি ট্রেইলর ভাড়া করা হয়েছে।
এমভি ট্রান্স সমুদেরা থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমস ট্রান্স-শিপমেন্টের শুল্ক বাবদ ৭ হাজার ৭৫৪ টাকা এবং পণ্য খালাসের জন্য প্রায় ৭০ ডলার আয় করবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সর্বেশেষ ভারতের মেঘালয় থেকে সড়ক পথে চায়ের একটি চালান চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। চালানটি ভারতের মেঘালয় থেকে ডাউকি (ভারত)–তামাবিল (বাংলাদেশ) স্থলবন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। এরপর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজযোগে সেটি নিয়ে যাওয়া হবে কলকাতায়।
এই দুটি চালান আনা নেওয়ার মাধ্যমে ৫ টি ট্রানজিট রুটের পরীক্ষামূলক ব্যবহার কার্যক্রম শেষ হবে। ট্রানজিট রুট ব্যবহারে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধান করা হবে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ট্রানজিট পণ্য পরিবহন শুরু হবে।
চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য ২০১৫ সালে ভারতের উদ্যোগে ঢাকা ও দিল্লি মাঝে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এরপর ২০১৮ সালে দুই পক্ষ একটি চুক্তি ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতিতে (এসওপি) স্বাক্ষর করে।
এসওপি অনুযায়ী, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরে পণ্য পৌঁছানোর জন্য সড়ক, রেল ও নৌপথে ৪টি রুট ব্যবহার করা হবে। রুটগুলো হলো- আখাউড়া-আগরতলায় (ত্রিপুরা), ডাউকি (মেঘালয়)-তামাবিল, সুতারকান্দি (আসাম)-শেওলা এবং শ্রীমন্তপুর (ত্রিপুরা)-বিবিরবাজার।
এর আগে, ২০২০ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে প্রথম চালান আনা হয়।