নারায়ণগঞ্জে লকডাউন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মেয়র আইভির
শিল্প ও বাণিজ্যনগরী নারায়ণগঞ্জের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ কারায় সিটি এলাকা লকডাউন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নিবার্হী আবুল আমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দিন দিন সংক্রামণ বাড়ছে। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় কয়েকটি এলাকা প্রশাসনের সহযোগিতায় লক ডাউন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় আদমজী ইপিজেড, গার্মেন্টস, হোসিয়াশিসহ ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং চাল, ডাল, আটা, ময়দা, লবণসহ নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজার রয়েছে। এসব কারণে নারায়ণগঞ্জ একটি শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। ফলে ঘনবসতিপূর্ণ এই নগরীতে করোনাভাইরাস সংক্রামণের ঝুঁকি অনেক।
মানুষের জীবন রক্ষার্থে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সার্বিক বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী জরুরি ভিত্তিতে সিটি এলাকায় লকডাউন বা কারফিউ জারি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন মেয়র।
আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি: মেয়র আইভি
এদিকে রোববার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, মেয়র আইভী কারোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্য়কে মারা গেছেন। গুজবের সত্যতা যাচাই করতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ নারায়ণগঞ্জের গণমাধ্যম কর্মীসহ মেয়র আইভী ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন করেন। দেশের এই দুর্যোগের সময় কারা কেন এই গুজব ছড়িইয়েছে, আইভী নিজেও জানেন না।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মেয়রের ছোট ভাই ও শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জ্বলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আপা আমার সামনেই আছেন। তিনি বাড়িতে বসে নামাজ পড়ছেন। নামাজ শেষে তিনি আপনাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন।'
সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় মেয়র আইভীর সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। কে বা কারা আমার মৃত্যুর বিষয়টি ছড়িয়েছে, জানি না।'