ভারতকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড
অ্যাডিলেড ওভালে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে জেতার জন্য ১৬৯ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। ইনিংস এর দ্বিতীয় ওভারেই রাহুল কে সাজঘরে ফেরান ওকস। এরপর অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং ভিরাট কোহলি ৪৭ রানের জুটি গড়েন।
২৮ বলে ২৭ রান করে রোহিত আউট হলে ভাঙ্গে তাদের জুটি। ভারতের ট্রাম্পকার্ড ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান সুরিয়াকুমার ইয়াদাভও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ, ১৪ রান করেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
এরপরই ভারতের ইনিংসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জুটি টি গড়েন কোহলি এবং হার্দিক পান্ডিয়া। তাদের ৪০ বলে ৬১ রানের জুটি ভাঙ্গার আগে কোহলি তুলে নেন অর্ধশতক, যেটি এবারের বিশ্বকাপে তার ৪র্থ। ৪০ বলে ৫০ রান করে জর্ডানের বলে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হন কোহলি।
শেষ দিকে হার্দিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৬৮ রানের পুঁজি পায় ভারত। ১৮ ও ১৯ তম ওভারে যথাক্রমে ১৫ ও ২০ রান তুলে নেন হার্দিক, মাত্র ২৯ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে হিট উইকেট হওয়ার আগে ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন হার্দিক, ইনিংসটি সাজাতে তিনি চারটি ৪ এবং পাঁচটি ৬ মারেন।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ক্রিস জর্ডান ৪৩ রান দিলেও ৩টি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আদিল রশিদ, ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার।
জয়ের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস এবং জস বাটলার। পাওয়ার প্লে'র ৬ ওভারে ৬৩ রান তুলে নেন তারা। এরপর সময় যতো গড়িয়েছে নিজেদের ইনিংসের গতি তত বাড়িয়েছেন দুজন। হেলস আর বাটলার এর তান্ডবে সামান্য প্রতিরোধ গড়তে পারেননি কোনো ভারতীয় বোলারই। ভারতীয় স্পিনার এবং পেসারদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে মাত্র ১৬ ওভারেই ১৬৯ রানের লক্ষ্য পূরণ করেন হেলস এবং বাটলার।
হেলস অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৮৬ রান করে, তিনি এই ইনিংস খেলতে চারটি ৪ এবং সাতটি ৬ মারেন। অধিনায়ক জস বাটলারও কম যান নি, শুরুতে হেলসকে স্ট্রাইক রোটেট করতে সাহায্য করলেও বাটলার গিয়ার চেঞ্জ করেন নিজের ইনিংসেরও, শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি, বাটলারের ইনিংসে ছিলো নয়টি ৪ এবং তিনটি ৬ এর মার।
ভারতের পেসার ভুবনেশ্বর কুমার, আরশদীপ সিং, হার্দিক পান্ডিয়া কিংবা মোহাম্মদ শামি কাউকেই ছাড় দেননি ইংলিশ ওপেনাররা। স্পিনারদের মধ্যে মার খেয়েছেন আকসার প্যাটেল এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
এই দুর্দান্ত জয়ের ফলে ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পেল ইংল্যান্ড। আরেকবার টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হল ভারতকেও।