‘স্বপ্ন হলো সত্যি’
দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় তিনি। ব্যাটিং কাণ্ডারীও, তবে নেতা নন। যদিও লিটন কুমার দাসের ভূমিকা বদলে যায় এক দিনের ব্যবধানে। শেষ মুহূর্তের চোটে ছিটকে যান ওয়ানডের নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল, নেতৃত্বভার ওঠে লিটনের কাঁধে। আর নেতা হিসেবে প্রথম মিশনেই সাফল্যে দুই হাত ভরে উঠলো তার। প্রথম দুই ম্যাচ দিয়েই বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের দল ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পর লিটন জানালেন, স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দিলো।
মেহেদী হাসান মিরাজের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে প্রথম ওয়ানডে অবিশ্বাস্য জয় পায় বাংলাদেশ। প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে জয় ছিনিয়ে নেয় ঘরের মাঠের দলটি। রোমাঞ্চে ঠাসা দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বিজয় কেতন উড়িয়েছে বাংলাদেশ। এখানেও জয়ের নায়ক সেই মিরাজ। উত্তেজনায় ঠাসা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়া পর অধিনায়ক হিসেবে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন লিটন।
ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'খুবই খুশি লাগছে। অধিনায়ক হিসেবে সিরিজ জেতাটা স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দেওয়ার মতো। আমার মনে হয়েছিল মিরপুরে ২৪০ রান যথেষ্ট হবে। আমরা ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলি, তবে মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ ভাই যেভাবে খেলেছেন; তা অসাধারণ। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট ভালো ছিল, আমি শুধু বোলার পরিবর্তন করেছি। চট্টগ্রামেও আমরা ম্যাচ জিততে যাচ্ছি।'
প্রথম ম্যাচ জিতিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা মিরাজ মাঠ ছাড়েন সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধে চড়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে আরও দুর্বার হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। খাদের কিনারে চলে যাওয়া দলকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যান আলোতে, খেলেন ৮৩ বলে ৮টি চার ও চার ছক্কায় ১০০ রানের হার না মানা ইনিংস। আট নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হয়েছেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার সপ্তম উইকেটের করা ১৪৮ রান যেকোনো উইকেটে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা। পরে বল হাতেও রাখেন অবদান, নেন ২ উইকেট। বোলার মিরাজ আগে থেকেই 'আপ টু দ্য মার্ক।' তবে ব্যাটসম্যান হিসেবে তার উন্নতি স্পষ্ট। ম্যাচের পর এ নিয়ে মিরাজ বললেন, 'গত কয়েক বছরে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। কিছু বিষয়ে আমার মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কীভাবে খেলতে হয়, এ নিয়ে কোচ আমাকে অনেক তথ্য দেন।'