ড্রাই ফুড - রপ্তানি খাতের নতুন সম্ভাবনা
২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে বেশ ভালো অবদান আছে শুকনো খাবার বা ড্রাই ফুড খাতের। দেশের বাইরে অবস্থিত প্রবাসী বাঙ্গালীরা মূলত এই পণ্যগুলোর প্রধান গ্রাহক। তাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার যোগান দিতেই এই ধরণের খাবারের রপ্তানির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কৃষিখাতে মোট রপ্তানি আয়ের ২৫ শতাংশই এসেছে শুকনো খাবার থেকে। সেবছর কৃষিখাতে মোট রপ্তানি আয় ছিল ৯০৯ মিলিয়ন ডলার, এর মধ্যে শুকনো খাবার থেকে এসেছে ২২৭ মিলিয়ন ডলার।গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই খাত থেকে এসেছে ২০১ মিলিয়ন ডলার।
প্রক্রিয়াজাত শুকনো খাবারের প্রতি প্রবাসী বাঙ্গালীদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলে জানান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মার্কেটিং ডিরেক্টর কামরুজ্জামান কামাল। তিনি বলেন, “ প্রক্রিয়াজাত খাবারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা নিঃসন্দেহে আমাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।”
বিদেশীদের মধ্যেও এই খাবারের চাহিদা আছে বলে জানান কামাল।
বর্তমানে বাংলাদেশের ৫০ টি প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর মোট ১৪০ টি দেশে প্রক্রিয়াজাত শুকনো খাবার রপ্তানি করে। এই দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য - যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই, ওমান,কুয়েত, কাতার, ভারত, চীন এবং জাপান।
বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস এসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী এই সমস্ত শুকনো খাবারের মধ্যে আছে - বিস্কিট, চানাচুর, পটেটো ক্র্যাকারস,গুঁড়ো দুধ, আটা, আচার, চাটনি, ম্যাঙ্গো বার, জ্যাম জেলি, সুগন্ধী চাল, চিকন চাল, বাদাম, মিহি করে কাটা সুপারি, ক্যান্ডি, মুড়ি, চিড়া, ইসুবগুল, নুডলস, সেমাই, স্ন্যাকস, শুকনো ডাল,গুড়, মিষ্টি, পপ কর্ণ, পটেটো ফ্লেক, আখ এবং টিনজাত আনারস।